ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে দুর্ঘটনা

সচেতনতাই হোক সমাধান

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০

গ্যাস সিলিন্ডার ও সরবরাহকৃত গ্যাস থেকে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। মারাও যাচ্ছেন অনেকে। দুর্ঘটনায় এক পরিবারের একাধিক সদস্যের মৃত্যুর মতো বেদনাদায়ক ঘটনাও ঘটছে। প্রতিটি মৃত্যুই বেদনার, এক পরিবারের একাধিক সদস্য যখন আহত-নিহত হন- স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, কে তবে কাকে শুশ্রুষা দেবেন, কীভাবে দেবেন! রান্নাঘরে ‘গ্যাস বোমা’র দুর্ঘটনায় সর্বশেষ দগ্ধ হয়েছেন ৮ জন, এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে একই পরিবারের এ সদস্যরা দগ্ধ হন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আক্রান্ত পরিবারের একজন সদস্য জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায়। পরিবারটি সাইনবোর্ড সাহেবপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির পাঁচতলার নিচতলায় ভাড়া থাকে। রাতে ওই এলাকায় গ্যাসের চাপ কম ছিল, ফলে চুলা বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

ভোরে রান্নার জন্য আগুন ধরাতেই বিকট শব্দে পুরো বাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আটজন দগ্ধ হয়। পরে তাদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, বেশিরভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, সারা রাত গ্যাসের চুলা থেকে অল্প অল্প গ্যাস বের হয়ে পুরো বাড়িতে জমা হয়েছে। পরে সকালে চুলা জ্বালানোর আগুন ধরালে ও জমে থাকা গ্যাসের কারণে আগুন ধরে যায়।

শুধু গ্যাসই নয়, নানাভাবেই অগ্নিকাণ্ডে মারা যাচ্ছে মানুষ। আজ খুলনায় পৃথক আরও চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায়ও নিহত হয়েছেন ১ জন।

আজ খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ এক বৃদ্ধা (৬০) নিহত হয়েছেন। পৃথক এসব অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার ভোররাত থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হরিণটানা থানার ওসি জানান, খুলনা নগরীর হরিণটানা থানার শ্মশানঘাট এলাকায় সোমবার গভীর রাতে একটি ঘরে আগুনের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাত ১টার দিকে পশ্চিম রূপসা এলাকায় রূপসা স্ট্যান্ড রোডের তেরোগোলা এলাকার কোকাকোলা গোডাউনের পাশের স-মিলের কাঠের আড়তে আগুন লাগে। এতে স-মিল থেকে রূপসা নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ৮-১০টি জ্বালানি কাঠের দোকান পুড়ে যায়। এছাড়া রাত ১টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার জামান জুট মিলে আগুন লাগে।

দুপুর ১টার দিকে নগরীর ডাকবাংলা মোড়ে সম্রাট মার্কেটের পেছনের একটি কলোনিতে আগুন লেগে কয়েকটি ঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে এসব মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশেষ করে গ্যাস দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি সতর্কতা বজায় রাখা উচিত।

অন্যদিকে সব ধরনের দুর্ঘটনা রোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে এর ক্ষতিকর দিকগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত বলেই আমরা মনে করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper