খেলাপি ঋণে লাগাম টানুন
সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
খেলাপি ঋণ নানাভাবেই ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে। ঋণ গ্রহণ করে ফেরত না দেওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে দিন দিন। সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য এটা অশনিসঙ্কেত। ঋণখেলাপ বাড়তে থাকলে নানা ক্ষেত্রেই পড়বে এর নেতিবাচক প্রভাব। গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিকে হয়ে যাচ্ছে খেলাপি ঋণ কমানোর আশা।
নানাবিধ সুবিধা দিয়েও খেলাপি ঋণ কমানোর ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না, ডিসেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের উপরেই থাকছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পুনঃতফসিলি প্রাথমিক তথ্যে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে খেলাপি গ্রাহকরা পুনঃতফসিলি করেছে ১৮ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। যা মোট খেলাপি ঋণের ১৬ শতাংশ। দেশে ব্যাংকিং খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮২ কোটি ২২ লাখ টাকা, এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর এ ঋণের মধ্যে মন্দ ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট সুবিধার আওতায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলি যা-ই হোক খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে নামবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতিবিদরা জানান, সুদহার না কমার জন্য খেলাপি ঋণ একমাত্র কারণ নয়। এর সঙ্গে কম সুদে আমানত প্রাপ্তি, নতুন করে ঋণ বিতরণ, পুরনো ঋণ আদায়সহ নানাবিধ কারণ আছে। তবে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলি করার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ব্যবসায়ীরা গ্রহণ করছে বলেই ধারণা।
খেলাপি ঋণের বোঝা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রভিশন সংরক্ষণ ব্যাংকগুলোর আরেক সমস্যা হিসেবে হাজির হয়েছে। খেলাপি ঋণের ধরন ভেদে খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। সাব স্ট্যান্ডার্ড (এসএস), ডাউটফুল (ডিএফ) ও ব্যাড এন্ড লস (বিএল) খেলাপি ঋণ ও ঋণের ধরন ভেদে খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২৫ থেকে শতভাগ পর্যন্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।
খেলাপি ঋণ রোধে ও উদ্ধারে সংশ্লিষ্টরা আরও তৎপর হবেন বলেই আমরা প্রত্যাশা করি। অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে এর কোনো বিকল্প নেই।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228