শিক্ষাঙ্গন হোক কলুষমুক্ত
সম্পাদকীয়
🕐 ৮:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই শিক্ষার্থীরা পান নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রাথমিক সবক। সেই শিক্ষাঙ্গনেই যদি অসদুপায় অবলম্বন করা হয়, তা এককথায় দুঃখজনক। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়ায় ৬৩ শিক্ষার্থী ও অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক সম্পৃক্ততার দায়ে চার শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভর্তি জালিয়াতিতে আরও নয়জন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কার করা শিক্ষার্থীদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- সাত দিনের মধ্যে তা জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ঢাবি উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভায় ঢাবি গ্রন্থাগার ও টিএসসিতে গত ২৫ অক্টোবর সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ে ২ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় তাকে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থায়ী বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির মামলায় সিআইডির অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তারা। ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের কাছ থেকে জালিয়াতিতে সহায়ক ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
শিক্ষাঙ্গন হোক সকল দুর্নীতি ও অসদুপায়মুক্ত। ঢাবি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কঠোর এ অবস্থানের মাধ্যমে অন্যরা একধরনের বার্তা পাবেন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228