ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মোংলা বন্দরে আলোর সংকেত

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০

ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানিসহ নানাভাবেই বন্দর দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরের মাধ্যমেই একটি দেশ সত্যিকার অর্থে উন্নত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দর সচল করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এজন্য বন্দরটির চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নিচ্ছে নৌ-মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরের জেটিতে ৯.৫ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা পাওয়া যাবে।

এ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, প্রকল্পটির প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে।

এর ফলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৩১ কিলোমিটার উজানে পশুর নদীর পূর্ব তীরে মোংলা বন্দরের অবস্থান। বঙ্গোপসাগর থেকে চ্যানেলের প্রবেশ মুখ যা ‘আউটার বার’ এবং জয়মনিরগোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত যা ‘ইনার বার’ নামে পরিচিত। এই দুটি এলাকায় প্রায় ৩০ কিলোমিটারব্যাপী চ্যানেলে নাব্য পাঁচ থেকে ছয় মিটার।

বাংলাদেশে যেসব কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসে, এসব জাহাজ পূর্ণ লোড অবস্থায় প্রায় ৯.৫ মিটার ড্রাফটের হয়ে থাকে। মোংলা বন্দরের আউটার বার ও ইনার বারের নাব্য সংকটের কারণে কন্টেইনারবাহী ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দরে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না।

এতে মোংলা বন্দরে কন্টেইনার পরিবহনের খরচ ও সময় বৃদ্ধি পায়। বিদ্যমান সমস্যা মোকাবেলায় নেওয়া হয়েছে সংস্কারমূলক উদ্যোগ। এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রয়োজন উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে মোংলা বন্দর হয়ে উঠুক দেশের জন্য আরও উপকারী।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper