আগুন নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কাম্য
সম্পাদকীয়
🕐 ৯:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুই বস্তি পোড়ার সংবাদে সয়লাব ছিল গতকালের প্রচারমাধ্যম। অসতর্কতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, আগুন লাগছে প্রায়ই বস্তিতে। এক শ্রেণির বাড়ির মালিক অর্থলোভে যেনতেন প্রকার ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছেন, সেখানে মাথা গুঁজছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এরাই আবার অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্যোগ-দুর্ভোগে প্রাণ হারাচ্ছে অকাতরে।
আজ প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনের আলো ফোটার আগেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। ঘুমন্ত মানুষগুলো ঘর থেকে বের হয়ে ছুটতে থাকেন দ্বিগবিদিক। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে মিরপুরের রূপনগরের চলন্তিকা বস্তিতে গত শুক্রবার ভোরে আবারও অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। পুড়েছে দেড়শতাধিক ঘর। দগ্ধ হয়েছেন দুইজন। সবকিছু হারিয়ে দিশাহারা বস্তিবাসী। ঠাণ্ডায় উন্মুক্ত আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে তাদের। বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দাবি করেছেন ঘরহারা মানুষ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে মাত্র সাড়ে চার ঘন্টার আগুনে একটি বস্তি পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, সড়ক সরু হওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য তাদের কোনো গাড়ি বস্তির কাছে যেতেই পারেনি। এ ছাড়া বস্তির আশপাশে পানির কোনো উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে এত সময় লেগেছে। তাতেই সহায়-সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে কয়েক হাজার মানুষ।
রাজধানীর অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক দগ্ধ হয়েছেন দুজন। এদের একজন গতকাল মারা যান। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই এলাকার সরু রাস্তা, পানির অভাবে আগুন নেভাতে সময় লেগেছে। গার্মেন্টসের রিজার্ভার থেকে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। আগুনের কারণ এবং মোট ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে।
আগুনের লেলিহান গ্রাস যেভাবে ঘরছাড়া, সম্পদহীন করছে সাধারণ মানুষকে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পরিত্রাণ পেতে সব পক্ষেরই সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। যে কেউই যেন বাড়িওয়ালা হয়ে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতে না পারে- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228