মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া আশঙ্কাজনক
সম্পাদকীয়
🕐 ৯:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
আগামী মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় এবারও কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। হিসাব অনুযায়ী, যেখানে পরিমাণ বৃদ্ধিই স্বাভাবিক, উল্টো পরীক্ষার্থীর ঝরে পড়া অশনিসংকেতেরই ইঙ্গিত দেয়। মাধ্যমিকে গত দুই বছরে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
দুই বছর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে নবম শ্রেণিতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২০ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৮ জন রেজিস্ট্রেশন করে। তাদের মধ্যে এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। পরে ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। নিয়মিত-অনিয়মিত মিলে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন অংশ নেবে।
এর মধ্যে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ জন ছাত্রী। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। সে হিসাবে এবার মোট ৮৭ হাজার ৫৫৪ পরীক্ষার্থী কমে গেছে।
পরীক্ষার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার বিস্তারিত তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।
ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এমএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ইতিপূর্বে নানা অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছে পাবলিক পরীক্ষাগুলো। এবার সেসব প্রতিকারের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ রাখাও জরুরি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228