ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত হোক

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২০

দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং গত এক বছরের বেশি সময় ধরে খুব কম হচ্ছে। বিদ্যুৎজনিত ভোগান্তি মানুষের নেই বললেই চলে। ভোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী ও বরগুনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সাময়িক সমস্যা মেটানো হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের বিদ্যুৎ বিষয়ে অভিযোগ কমে এসেছে। এ অঞ্চলে এখন নতুন আশার আলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এটি অত্যন্ত আশার কথা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়ায় নির্মিত ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে জাতিয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে।

প্রথমবারের মতো সোমবার ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গোপালগঞ্জ স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কার্যক্রম সফলভাবে চালু করা হয়। প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবল সার্কিটের হাই ভোল্টেজ লাইনটি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়েছে।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাণিজ্যকভাবে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে দিতে সক্ষম হবে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানির এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে গ্রিডে দেওয়া হলে দক্ষিণাঞ্চলের লোড শেডিং আর থাকবে না বলে বিদ্যুৎ বিভাগ মনে করে। পরিচ্ছন্ন কয়লা প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ঘিরে পটুয়াখালীর পায়রায় ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য চলছে। সরকার এখানে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য এক হাজার একর জমির উন্নয়ন করেছে। এই কেন্দ্র থেকে বরগুনার আমতলী হয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাড়িয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন তার সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে। সে জন্য পায়রায় নির্মাণ করা হচ্ছে বড় কোল-ইয়ার্ড। আমদানি করা কয়লা সরাসরি পায়রা সমুদ্রবন্দর হয়ে এই কোল-ইয়ার্ডে আসবে। কয়লাভিত্তিক হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিবেশবান্ধব করার পরিকল্পনা সরকারের।

বাংলাদেশের সর্বাধুনিক পাওয়ার প্ল্যান্ট এখানে স্থাপিত হচ্ছে। আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্ল্যান্ট করা হচ্ছে। শকস অ্যান্ড নকসকে কন্ট্রোল করার জন্য ডি সালফারাইজেশন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। কয়লা যেন ছড়িয়ে না যায়, সে ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। পায়রা বন্দরসংলগ্ন এক হাজার একর জমিতে এলএনজিভিত্তিক এবং সৌর ও বায়ুভিত্তিক আরও কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লোড শেডিংয়ের সিস্টেমই থাকবে না। মানুষ নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবে। উৎপন্ন হোক পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ-এই কামনা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper