স্বচ্ছতা ফিরুক বিমানে
সম্পাদকীয়- ২
🕐 ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০
বাংলাদেশ বিমানের অপার সম্ভাবনা থাকলেও নানা কারণেই প্রতিষ্ঠানটি সমালোচিত হচ্ছে। দিতে পারছে না কাক্সিক্ষত সেবা। প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ বাড়াও জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের। পুরাতন জরাজীর্ণ উড়োজাহাজ আর লোকসানের বোঝা ফেলে নতুন বছরে নতুন করে এগোতে চায় বিমান কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ইক্যুইটি খাতে স্থানান্তর ও মওকুফ চায়। এর মধ্যে ২৬শ’ কোটি টাকার সুদ মওকুফ চাচ্ছে সংস্থাটি। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ সম্পর্কিত চিঠি পাঠিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অব্যাহত লোকসানের মুখে ২০০৯ সালে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। একই সময়ে পুঞ্জীভূত এক হাজার ১৯৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লোকসান ইক্যুইটি খাতে স্থানান্তর করলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিমান।
অব্যবস্থাপনা, বিমানের অসম প্রতিযোগিতা, পুরাতন বিমান ও লিজে বিমান সংগ্রহের কারণে আয়ের চেয়ে ব্যয় গুনতে হয় বেশি। মিসরের ইজিপ্ট এয়ারের কাছে থেকে বিমান লিজ নেওয়ার কারণে এখানেই লোকসান গুনতে হয় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি পদ্মা অয়েল কোম্পানি ও বেবিচকের পাওনা ও সুদ মিলিয়ে পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকার বকেয়ার মধ্যেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবার কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়।
এবার নতুন প্রজন্মের ১৫টি বিমান নিয়ে লোকসানের যুগের সমাপ্তি করতে চায় বিমান এয়ারলাইন্স। দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে এসব বিমান সংগ্রহ করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মনে করছে, জ্বালানি তেল ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাওনা টাকা পরিশোধ করে নতুন খরচ মেটাতে গেলে নতুন করে আবার লোকসানে পড়বে বিমান। বিমান নতুন করে যেন লোকসানে না পড়ে; সে জন্য সংশ্লিষ্টরা যথাযথ উদ্যোগ নেবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228