শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ কাম্য
সম্পাদকীয়
🕐 ৮:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
নানা ক্ষেত্রের শ্রমিক বিক্ষোভ দানা বাঁধছে। শ্রমিকদের ভেতরে জেগে অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে রাজপথে। দাবি-দাওয়া আদায়ে শ্রমিকরা বেছে নিচ্ছেন নানা পদ্ধতি। পোশাক শ্রমিকরা বছরের কোনো না কোনো সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজপথেও আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। ভাঙচুরসহ সহিংস ঘটনাও ঘটে কখনো কখনো। সরকার চাইলেও বিদ্যমান সংকটের সুরাহা করতে পারছে না। নানা ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ যেসব জট পাকিয়ে রয়েছে, তার সমাধান রাতারাতি সম্ভবও নয়।
সম্প্রতি পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। দেশজুড়ে সংঘটিত এ আন্দোলনে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একের পর এক আন্দোলন করে যাচ্ছেন পাটকল শ্রমিকরা। দীর্ঘ আন্দোলনের পরও বকেয়া মজুরি, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রদান ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, মজুরি কমিশনসহ ১১ দফা ন্যায্য দাবি মানা হচ্ছে না।
এ জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন তারা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলা-উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন। পরে বিক্ষোভ, ভুখা মিছিল, সমাবেশ করেন সিবিএ এবং নন-সিবিএ নেতা-শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
খুলনা, নরসিংদীর পর বড় আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে চট্টগ্রামে। আমিন জুটমিলের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কয়েক দফায় বিক্ষোভ এবং পাটমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ, থালা-বাটি হাতে ভুখা মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। সিবিএ নেতারা বলেন, জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার আমরা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। কিন্তু পাটশিল্প রক্ষায় তার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাই আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে লাগাতার অনশনে নেমেছি।
শ্রমিক নেতারা জানান, আমাদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি। গত রমজানেও আমরা আন্দোলন করেছি। সরকারি ও অন্যান্য করপোরেশনের কর্মচারীরা পেয়েছেন জাতীয় মজুরি কমিশন ২০১৫ স্কেল। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা পাননি। আমরা যে ন্যূনতম মজুরি পাই তাও ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বকেয়া।
অনেক শ্রমিক অবসরে গেলেও তাদের এককালীন পাওনা পাননি। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। মানবিক কারণেও শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। শ্রমিক অসন্তোষ জিইয়ে রেখে কাক্সিক্ষত ফলাফল মিলবে না- সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে ভাবতে হবে নতুন করে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228