ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বিস্তৃত হোক

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:১১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯

দেশের অর্থখাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খেলাপি হয়েছেন তাদের জন্য দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে পুনঃতফসিল করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাইছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।

অর্থখাতের নীতিনির্ধারকরা চাইছেন খেলাপি ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহণ করে আবার ব্যবসায় ফিরে আসুন। যারা পুনঃতফসিল করছেন ব্যাংক তাদের কাছ থেকে শুধু ঋণ আদায়ই করবে না, প্রয়োজনে আবার ঋণ দেবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমবে। গ্রাহকরা আবার ব্যবসায় ফিরে আসবেন। খেলাপি ঋণের দুর্নাম ঘুচে যাবে।

এটি অবশ্যই আশার আলো জাগায়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। পণ্য রফতানিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। দেশের প্রধান রফতানিপণ্য তৈরি পোশাক খাতে আয় ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। যে কারণে রফতানিতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা এখনও বিদ্যমান। কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬৭ শতাংশ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থবছরের বাকি ছয় মাস এই ধারা অব্যাহত থাকার পাশাপাশি তা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বস্তুত অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন, বিশেষ করে বন্দর সুবিধা সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সহজলভ্য হওয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে পণ্য উৎপাদন ও রফতানি প্রবৃদ্ধিতে। দেশের পোশাক শিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে তাদের কারখানার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেওয়ায় ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি এই রফতানি আয় বাড়াতে অবদান রেখেছে বলে মনে করে পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে প্রবৃদ্ধির এই গতি আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশের পণ্য রফতানির বাজার ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের প্রধান রফতানি পণ্য এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাক হলেও অন্যান্য পণ্যের রফতানিও দ্রুত বাড়ছে। এছাড়া দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহও বেড়েছে। ২০১৮ সালে প্রবাসী আয় এসেছে দেড় হাজার কোটি ডলারেরও বেশি, যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। আরও অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগতির এই ধারা বিদ্যমান।

আমরা মনে করি রফতানির এই প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রে। তবে আমাদের উন্নয়নের এই গতি ধরে রাখতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, কৃষি, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়েছে দেশ। মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকেও অনেক উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে বেশি অগ্রগতি আমাদের। এ অগ্রগতি ধরে রেখে আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper