ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসনীয় উদ্যোগ

প্রতিবন্ধীরাও সমান অধিকারের দাবিদার

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯

প্রতিবন্ধীদেরও আছে সমান অধিকার। অপ্রিয় সত্য হচ্ছে, এদের খাটো করে দেখার প্রবণতা রয়েছে কারও কারও মধ্যে। শারীরিক অবস্থায় মানুষের ভূমিকা থাকে না। কে কেমন হবে, কী রূপে জন্মাবে এটার নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে নেই। সুতরাং তাকে খাটো করে দেখা অনুচিত। এটাও সত্য, শারীরিক ত্রুটির কারণে প্রতিবন্ধীদের পক্ষে অনেক কাজই করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি মমতা ও সহানুভূতির হাতটি বাড়িয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি ধ্বনিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে।

জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, প্রতিবন্ধিতা কোনো রোগ নয়। জন্মগত ত্রুটি, দুর্ঘটনা ও নানা কারণে প্রতিবন্ধী হয় মানুষ। বৈষম্যহীন সমাজে প্রতিবন্ধী ও সুস্থ মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। তাই প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধুর দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করে সমাজ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছেন। সেই সংবিধানে তিনি প্রতিবন্ধীদের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। স্বাধীন দেশে সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সেবা সাহায্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়নের মূলনীতি অনুযায়ী সবাই সমানতালে এগিয়ে যাবে। সব প্রতিবন্ধীকে সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রতিবন্ধী নিয়ে আমাদের দেশে কোনো সচেতনতা এর আগে ছিল না। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অত্যন্ত পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশে অটিজম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পৃথিবীতে তিনি অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অটিজম ও প্রতিবন্ধী সম্পর্কে মানুষ যথেষ্ট সচেতন। আগে পোলিও হলে অনেকেই প্রতিবন্ধী হতো। বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত হয়েছে।

ইতোমধ্যে আমরা পোলিও ভ্যাকসিন দিয়ে দেশকে পোলিওমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। অটিজমে ভোগাদের যত্ন নিয়ে ভালোভাবে লেখাপড়া করিয়ে ট্রেনিং দিয়ে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তারা যেন মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে থাকতে পারে সে পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্তানের প্রতিবন্ধিতা দূর করতে বাবা-মাকেও কষ্ট স্বীকার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতিবন্ধীরা যেন পিছিয়ে না পড়ে, তাই বর্তমান সরকার তিনটি আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। যে ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন দাতাসংস্থা বা সম্পদশালীরা সহযোগিতা করবেন। আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশনকে সহযোগিতা করবে।

এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, ট্রেনিং, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘সুবর্ণ ভবন’ নামের কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করা হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper