ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যাংক খাতে বন্ধ্যাবস্থা

সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসুন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৭:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯

অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ব্যাংক খাত। বস্তুত ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনের ছোটখাটো কাজগুলোও ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। প্রাচীনকালের বিনিময় প্রথার বাইরে এসে ব্যাংকগুলো লোকজীবনে এনেছে স্বস্তি। হালে ব্যাংক খাতে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। খেলাপি ঋণ উঠেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। খেলাপি ঋণের চাপে ব্যাংকগুলো একদিকে নতুন ঋণ দিতে পারছিল না।

নানাভাবে চেষ্টা করেও সুদহার কমানো সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে নতুন করে বিনিয়োগেও ভাটা পড়েছিল। এ বন্ধ্যাবস্থা কাটাতে দুই শতাংশ হারে ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সুযোগের সুখবর আনতে পারেনি বেশ কিছু ব্যাংক।

জুন প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল নয় লাখ ৬২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। একই সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তিন মাসের ব্যবধানে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় নয় লাখ ৬৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

তিন মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে তিন হাজার ৮৬৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির এই হার বিতরণ করা ঋণের হারের চেয়ে বেশি। খেলাপি ঋণ কমাতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ এবং বিভিন্ন রকম ছাড় দেওয়ার পরও খেলাপি গ্রাহকরা এগিয়ে না আসার বিষয়টিকে উদ্যোগ ও ছাড়ের ব্যর্থ ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। জুন প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ছিল যথাক্রমে চার হাজার ৩১১ কোটি টাকা, তিন হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা, এক হাজার ৯৯ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংক তিনটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে চার হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা, তিন হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা ও এক হাজার ৪০ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ কমাতে খেলাপি গ্রাহকদের দুই শতাংশ হারে ডাউন পেমেন্টে পুনঃতফসিলি করার প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে এগুতে চান তারা এ সুবিধা নিতে আসছেন না। এ সুযোগ নিলে ব্যবসাতে তারা চিহ্নিত হয়ে যাবেন। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে এলে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। ব্যাংক খাত সজীব থাকলে এর সুফল মিলবে দেশের প্রত্যেকটি খাতে, জনজীবনে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper