ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাজারে গুজবের দাপট

সচেতনতার বিকল্প নেই

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০১৯

গুজব এখন যেন বাতাসের আগেই ছড়িয়ে পড়ে, সাধারণভাবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুজবের শিকার হন ভুক্তভোগীরা। আর এর মধ্য দিয়ে পোয়াবারো হয় গুজব রটনাকারীদের। এ ধারাবাহিকতায় জাতীয় জীবনে অন্যান্য প্রেক্ষিতের ন্যায় সম্প্রতি গুজব আঘাত হানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারেও।

খোলা কাগজে প্রকাশ, বাজার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ না করায় সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিভিন্নভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং বাজারকে অস্থির করে মুনাফা লুটছে একটি প্রভাবশালী মহল। যে কারণে সরকারকেও মাঝেমধ্যে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। বাজারে পণ্যের অভাব না থাকলেও ওই মহলটি একেক সময় একেকটি পণ্য টার্গেট করে কৃত্রিম সংকট তৈরির কথা বলে বাজারকে অস্থির করে ফায়দা লুটছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত যখন বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তখনো বাংলাদেশে তিন লাখ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ মজুদ ছিল। বাংলাদেশে প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দরকার। সে হিসেবে মজুদ পেঁয়াজে দুই মাস (অক্টোবর-নভেম্বর) অনায়াসে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে গুদামে পেঁয়াজ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।

এ সময় গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় বাজারে পেঁয়াজ সংকট। তখন রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এ বছর পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম প্রতিকেজি ২৭০ টাকা পর্যন্ত ছিল। অথচ ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিল তখন বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এদিকে পেঁয়াজের বাজারে নৈরাজ্য চলার মধ্যেই তুলকালাম হলো লবণের বাজারে। ১৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে ১৮ লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার পরও গুজব ছড়ানো হলো যে লবণের সংকট হচ্ছে। আর ক্রেতারাও হামলে পড়ল বাজারে। অথচ শীর্ষ লবণ উৎপাদকরা বললেন, বাজারে কোনো সংকট নেই, বরং উদ্বৃত্ত। অথচ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাজার থেকে একটি চক্র বিপুল অঙ্কের মুনাফা করে নিয়ে গেল।

লবণের সংকট, পেঁয়াজ সংকট এমন মিথ্যা গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে বাজার অস্থির করে তোলা হচ্ছে। যখন গুজব ছড়ানো হয় কোনো পণ্যের দাম বাড়তে পারে, তখন মানুষ ওই পণ্যটি বেশি কেনে। যে কারণে বাজারে সাময়িক সংকট দেখা দেয় এবং এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেন। এভাবেই একেকটি পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।

মানুষকে এখন আতঙ্কে থাকতে হয় গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে নতুন করে আবার কোন জিনিসের দাম বাড়ে। যেহেতু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে তৎপর থাকে, তাই এক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতনতা খুব বেশি জরুরি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখন থেকেই নিয়মিত তৎপর থাকতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper