ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সড়কে মৃত্যু থামছেই না

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিন

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯

প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের নির্বাক করে তোলে। স্বজনহারা মানুষের বেদনাহত হৃদয় ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু তাতে বাধে বিপত্তি, রাস্তায় ধর্মঘট ডেকে জনজীবন অচল করে দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতি। এভাবেই এক মগের মুল্লুকে বাস করছি আমরা। প্রতিদিনই সড়কে মানুষ মারা যায়, কিন্তু তাতে যেন কারও কিছুই যায় আসে না। আবার সড়ক নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জিম্মি হয়ে যেতে হয় দুর্বৃত্তদের কাছে।

প্রতিদিনের এরকম নৈরাজ্যের মাঝেই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে বাস-বরযাত্রীবাহী মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১১ জন। এদের মধ্যে এক পরিবারেরই রয়েছেন পাঁচজন। বরযাত্রী হিসেবে তারা ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে যাচ্ছিলেন। পৃথক দুর্ঘটনায় সেদিন মুন্সীগঞ্জে মারা গেছেন আরও একজন। মুন্সীগঞ্জ ১২ জনের মৃত্যুভারে কাঁদছে।

এ শোক দেশের অপরাপর জেলার মানুষের মনেও প্রবাহিত হয়েছে। শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য চলতি মাস থেকেই চালু হয়েছে নতুন সড়ক আইন, আইনটির সংশোধন চেয়ে আন্দোলন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ঠিক এ সময়েই এমন মৃত্যু গভীর বেদনাবহ।

শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে দেশের অন্য কয়েকটি জেলায় মারা গেছেন আরও সাতজন। ১৯ জনের মৃত্যু চাক্ষুষ করতে হয়েছে সড়ক অবরুদ্ধ থাকার সময়েও! এর আগে বৃহস্পতিবার মারা গেছেন ছয়জন, তারও আগের দিন ১১ জনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশের নানা এলাকার সড়ক। সড়কে এমন মৃত্যু কারও কাম্য নয়। মানুষ হত্যার লাইসেন্স চেয়ে বর্তমানে যে সব পরিবহন মালিক-শ্রমিক মাঠে রয়েছেন তারাও কিছু খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপনের বাইরে এর সদুত্তর দিতে পারবেন না। কেন এ অপমৃত্যু, কত মায়ের বুক খালি হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে- কোথাও মিলছে না জবাব!

মন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী একটি পরিবারের বরযাত্রীরা যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। আনন্দ আয়োজনে শামিল হওয়ার আগেই তাদের চলে যেতে হলো জীবনের ওপারে! এ পরিবারের জীবিত সদস্যদের কী বলে সান্ত্বনা দেওয়া যাবে, দেবেই বা কে! শুক্রবার সড়কে যে ১৯টি তাজা প্রাণ ঝরল, এ মৃত্যুর দায়ভার কে নেবে? আমরা সড়কে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রত্যাশা করি না। শত বাধার পরও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সরকার কঠোর ভূমিকা পালন করবে আমরা সে প্রত্যাশাই করি।

প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের নির্বাক করে তোলে। স্বজনহারা মানুষের বেদনাহত হৃদয় ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু তাতে বাধে বিপত্তি, রাস্তায় ধর্মঘট ডেকে জনজীবন অচল করে দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতি। এভাবেই এক মগের মুল্লুকে বাস করছি আমরা। প্রতিদিনই সড়কে মানুষ মারা যায়, কিন্তু তাতে যেন কারও কিছুই যায় আসে না। আবার সড়ক নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জিম্মি হয়ে যেতে হয় দুর্বৃত্তদের কাছে।

প্রতিদিনের এরকম নৈরাজ্যের মাঝেই পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে বাস-বরযাত্রীবাহী মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১১ জন। এদের মধ্যে এক পরিবারেরই রয়েছেন পাঁচজন। বরযাত্রী হিসেবে তারা ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে যাচ্ছিলেন। পৃথক দুর্ঘটনায় সেদিন মুন্সীগঞ্জে মারা গেছেন আরও একজন। মুন্সীগঞ্জ ১২ জনের মৃত্যুভারে কাঁদছে। এ শোক দেশের অপরাপর জেলার মানুষের মনেও প্রবাহিত হয়েছে। শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য চলতি মাস থেকেই চালু হয়েছে নতুন সড়ক আইন, আইনটির সংশোধন চেয়ে আন্দোলন করছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ঠিক এ সময়েই এমন মৃত্যু গভীর বেদনাবহ।

শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে দেশের অন্য কয়েকটি জেলায় মারা গেছেন আরও সাতজন। ১৯ জনের মৃত্যু চাক্ষুষ করতে হয়েছে সড়ক অবরুদ্ধ থাকার সময়েও! এর আগে বৃহস্পতিবার মারা গেছেন ছয়জন, তারও আগের দিন ১১ জনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশের নানা এলাকার সড়ক। সড়কে এমন মৃত্যু কারও কাম্য নয়। মানুষ হত্যার লাইসেন্স চেয়ে বর্তমানে যে সব পরিবহন মালিক-শ্রমিক মাঠে রয়েছেন তারাও কিছু খোঁড়া যুক্তি উপস্থাপনের বাইরে এর সদুত্তর দিতে পারবেন না। কেন এ অপমৃত্যু, কত মায়ের বুক খালি হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে- কোথাও মিলছে না জবাব!

মন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী একটি পরিবারের বরযাত্রীরা যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। আনন্দ আয়োজনে শামিল হওয়ার আগেই তাদের চলে যেতে হলো জীবনের ওপারে! এ পরিবারের জীবিত সদস্যদের কী বলে সান্ত্বনা দেওয়া যাবে, দেবেই বা কে! শুক্রবার সড়কে যে ১৯টি তাজা প্রাণ ঝরল, এ মৃত্যুর দায়ভার কে নেবে? আমরা সড়কে এমন অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু প্রত্যাশা করি না। শত বাধার পরও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সরকার কঠোর ভূমিকা পালন করবে আমরা সে প্রত্যাশাই করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper