চালের দাম বৃদ্ধি
বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন
সম্পাদকীয়
🕐 ৯:২০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে না পেতেই মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো দাম বেড়েছে চালের। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দুটো পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে জনসাধারণকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর হঠাৎ করে চালের দামও বেড়ে গেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, দেশে চালের দাম বেড়েছে। বাড়তি ধানের দামও।
এমন সময়ে দাম বাড়ল, যখন প্রান্তিক কৃষকের কাছে ধান নেই। ফলে এই মূল্যবৃদ্ধির সুবিধাভোগী মূলত মিল মালিক, আড়তদার ও বড় কৃষকরা। আর বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঢাকার পাইকারি বাজারে গত ১৫ দিনে সরু মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধির কথা জানান ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে মাঝারি বিআর-২৮ ও সমজাতীয় চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। মোটা চালের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে, কেজিপ্রতি ২ টাকার মতো।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, পুরান ঢাকার বাবুবাজার-বাদামতলী ও কারওয়ান বাজারের চালের আড়তে বিভিন্ন মিলের মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিআর-২৮ চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৬ টাকা দরে। আর মোটা স্বর্ণাজাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে। পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে খুচরা বিক্রিতে। মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কাজীপাড়া, তেজগাঁও ও কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে মিনিকেট ৪৮, ৫০ ও ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিআর-২৮ জাতের চাল উঠেছে ৩৬, ৩৮ ও ৪০ টাকায়। আর মোটা চাল তারা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা চাইছেন।
সরকারি হিসাবে গত বোরো মৌসুমে দেশে প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়, যা আগের মৌসুমের চেয়ে ৮ লাখ টন বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে চাল উৎপাদিত হয় ৩ কোটি ৭৬ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চাল ৪৪ লাখ টন উদ্বৃত্ত আছে। এদিকে বিশ্ববাজারে বর্তমানে চালের দাম কম, তবে এখন আমদানি করেও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না যদি মজুতদার, মিলমালিক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ না করা যায়। এক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকার কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করবে আমরা সে প্রত্যাশাই করি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228