ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ট্রেনের শিডিউল লণ্ডভণ্ড

শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৯

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও ‘৯টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’- এমন কথা প্রচলিত রয়েছে। এর অন্যথা খুব কম ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। সম্প্রতি রেললাইনে একাধিক দুর্ঘটনার পর ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে শিডিউল বিপর্যয়সহ যে বিশৃঙ্খলাগুলো পরিলক্ষিত হয় তা আবারও আলোচনায় উঠে আসছে।

পত্রিকায় প্রকাশ, বর্তমানে লণ্ডভণ্ড শিডিউলে চলছে বাংলাদেশ রেলের সব রকমের সার্ভিস। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী যাত্রীদের সুবিধার্থে গন্তব্য জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ের চালু করা এসএমএস সার্ভিসও অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে যাত্রীরা মোবাইলে এসএমএস দিয়েও ট্রেনের গন্তব্য জানতে পারছেন না। লণ্ডভণ্ড শিডিউল আর অকেজো এসএমএস সার্ভিসের কারণে গত শনিবার ট্রেনযাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। রেলখাতে বিশৃঙ্খলার চিত্র অনুসন্ধানে জানা যায়, রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল বেনাপোল এক্সপ্রেসের। কিন্তু সেই ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়ে সকাল সাড়ে ৬টায়। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে। কিন্তু ৯টায় ট্রেন ছাড়েনি।

শনিবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, কয়েকশ মানুষ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রীরা ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরে বলেন, যশোর যাওয়ার জন্য দুদিন আগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের টিকিট কিনি। সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১২টার আগেই ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে। পরে শুনি ট্রেন আসতে দেরি হবে। এসএমএস দিয়ে ট্রেনের গন্তব্য জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। এসএমএস দিলে বারবার ফিরতি এসএমএস আসছে ‘ডাটা নট এভেইলেবল’।

ট্রেন শিডিউলে এমন বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, সিরাজগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে ট্রেনের শিডিউলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। শিগগিরই শিডিউল ঠিক হয়ে যাবে। আমরাও প্রত্যাশা করি ট্রেন শিডিউলে শৃঙ্খলা খুব দ্রুত ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি বেশ কিছু দুর্ঘটনার ফলে ট্রেনের যে অব্যস্থাপনা ও চালকদের খামখেয়ালির চিত্র ফুটে উঠেছে তারও যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করাই সবার কাম্য। রেল আমাদের দেশে সম্ভাবনাময় খাত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে রেললাইন একটুও বাড়েনি, বরং আগে যতটুকু ছিল তার চেয়েও হ্রাস পেয়েছে। তাই রেললাইন অন্তত যতটুকু আছে সেটুকুর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করে এই খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া যেহেতু নিকট ভবিষ্যতে ঢাকায় মেট্রোরেল সার্ভিস চালুর প্রক্রিয়া রয়েছে, সেহেতু ট্রেনের প্রতি যাত্রীদের আস্থা বজায় রাখার জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবেও বর্তমানে রেলযাত্রার শিডিউলে শৃঙ্খলা দরকার।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper