ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাকিবের দণ্ড

অপূরণীয় ক্ষতি

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:২০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৯

বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সম্মান বৃদ্ধির জন্য সাকিব আল হাসানের ভূমিকা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। আমাদের ক্রিকেটে ধারাবাহিক সাফল্যের পথচলায় তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দেশের অর্জনকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কিন্তু সম্প্রতি আইসিসির এক সিদ্ধান্তের ফলে তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তকে আমরা লঘু ভুলের ফলে বড় শাস্তি হিসেবেই দেখছি।

খোলা কাগজে প্রকাশ, একবার দুবার নয়, তিন তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রতিবারই তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। জুয়াড়িদের প্রস্তাব হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন। জানাননি ক্রিকেট দুর্নীতি দমন কমিশন সংশ্লিষ্ট কাউকেই। ছোট্ট এই ভুলের চড়া মাশুল দিতে হলো বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। এ যেন লঘু ভুলে গুরু দণ্ড। ভুলটা স্বীকার করেছেন ওয়ানডে সংস্করণের বিশ^সেরা অলরাউন্ডার। অনাকাক্সিক্ষত এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। আইসিসির কাছে স্বীকার করেছেন ভুলের কথা। তাই সাজাও কমছে। প্রথম বছরের নির্বাসিত অধ্যায়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে তার শাস্তির মেয়াদ দীর্ঘায়িত হবে না। সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কমে হয়ে যাচ্ছে এক বছরের। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে ২৯ অক্টোবর ২০২০ সালের আগে মাঠে ফিরতে পারবেন না সাকিব।

তবে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন বিপর্যয়কে পেছনে ফেলে মাঠে ফেরার অঙ্গীকার করেছেন সাকিব। দুঃসময়ে তিনি পাশে পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তথা পুরো বাংলাদেশকেই। ম্যাচ ফিক্সিং যেমন অপরাধ তেমনি অনৈতিক কিছুর প্রস্তাব গোপন করাও অন্যায়। প্রতিটি সিরিজের আগে ক্রিকেটারদের এই আইনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়ে থাকে। এই ধরনের অন্যায়ের সাজা ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়গ। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার খবরে বড়সড় একটা ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। এমন সময়ই অধিনায়ক সাকিব নির্বাসিত হলেন যখন ভারত সিরিজ দরজায় কড়া নাড়ছিল। তাকে রেখেই দিল্লির বিমানে চড়েছে টাইগাররা। এদিকে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের কিছুটা হলেও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। অতীতে যেমনটা হয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের বেলায়। এবার বিপাকে দেশের ক্রিকেটের আরেক তারকা। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের ক্যারিয়ারে আগেও বিপর্যয় এসেছিল। দুঃসময়কে জবাব দিয়ে সাকিব বরাবরই ফিরে এসেছেন। এবারো বীরদর্পে সাকিব প্রত্যাবর্তন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভক্ত-সমর্থকসহ গোটা ক্রিকেট বিশ্বের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper