ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চাকরি দেওয়ার নামে ধর্ষণ

বন্ধ হোক এ অনাচার

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০১, ২০১৯

জীবনের প্রয়োজনেই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের তাগিদে সবাই উদ্যোক্তা হতে পারেন না। তাই বিকল্প হিসেবে চাকরির সন্ধান করতে হয়। আবার বর্তমানে শুধু পরিবারের পুরুষ সদস্যই নয়, বরং নারী সদস্যদেরও জীবিকা নির্বাহের কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে হয়। এ হিসেবে চাকরি করলে সরকারি চাকরির প্রতি সবারই আলাদা আকর্ষণ কাজ করে। আর এর বদৌলতে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার ঘটনাও কম ঘটে না। বিশেষ করে চাকরি দেওয়ার নামে নারীদের ধর্ষণ করার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। বেসরকারি খাতেও চাকরি কম থাকায় এমন উদাহরণ দেখা যাচ্ছে।

পত্রিকায় প্রকাশ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক নারীকে ধর্ষণ অভিযোগের সত্যতা মেলায় রাজধানীর পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোনালিসা বেগম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পুলিশ সদর দফতরে করা লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে নওগাঁ থেকে ঢাকায় ডেকে আনেন ওসি মাহমুদুল হক। রাতে একটি হোটেলে রেখে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ওসি। চেতনা ফেরার পর তিনি প্রশ্ন করলে ওসি তাকে বিয়ে করার আগ্রহের কথা বলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এর পরেও বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেছেন মাহমুদুল।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু মাহমুদুল হক তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে অফিসে গেলে আবারও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। পরে মাহমুদুল ও তার বাবা নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গত আগস্টের শুরুতে ওই নারী পুলিশ সদর দফতরে অভিযোগ করলে মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোনালিসা বেগমকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এমন ঘটনায় পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, পুলিশের পোশাক গায়ে দিয়ে এ ধরনের অপরাধ করা হয়েছে। এটি খুবই খারাপ একটি উদাহরণ, কারণ সাধারণ মানুষের অন্যায় যারা প্রতিরোধ করবেন তারাই যদি অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তাহলে আইনশৃঙ্খলার প্রতি মানুষের শেষ আস্থাটুকু আর থাকে না। এজন্য এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট ওসিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper