ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পিয়াজের দাম বৃদ্ধি

মোটেও সুখবর নয়

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯

পিয়াজ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে অন্যতম। জীবন ধারণের জন্যই আমাদের পিয়াজ কিনে খেতে হয়। এর বাজারমূল্য যদি স্বাভাবিক না থাকে, তাহলে তার প্রভাব খুব স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুর ওপর পড়বে। দু’দিন আগে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পিয়াজের দাম। এ অবস্থায় পিয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ দরকার।

পত্রিকায় প্রকাশ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এবার পিয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা গত রোববার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার প্রভাব বাংলাদেশের বাজারেও ইতোমধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে পিয়াজের উৎপাদন বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। ফলে ভারতে পিঁয়াজের দাম বাড়ছে গত কিছুদিন ধরে। দিল্লির খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ রুপিতে, যা এক মাস আগেও ২০ থেকে ৩০ রুপি ছিল।

ঢাকার বাজারে গতকাল প্রতি কেজি পিয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের পিয়াজ রপ্তানি করেছে, যার একটি বড় অংশ এসেছে বাংলাদেশে। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে বছরে পিয়াজের উৎপাদন হয় ১৭ থেকে ১৯ লাখ মেট্রিক টনের মতো। তাতে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় আমদানি করতে হয় ৭ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। স্বল্প দূরত্ব আর সহজলভ্যতার কারণে আমদানির বেশির ভাগটা ভারত থেকেই হয়। ভারতের বাজারে পিয়াজের দাম বাড়তে থাকায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়।

এই খবরে বাংলাদেশের বাজারে পিয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবি খোলাবাজারে পিয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। দেশের চাহিদা পূরণে ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকেও পিয়াজ আমদানির এলসি খোলা হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন এক সপ্তাহ আগেও বলেছিলেন, ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, দাম দ্রুত কমে আসবে। কিন্তু তার মধ্যেই গত রোববার ভারতের রপ্তানি বন্ধের এ ঘোষণা এলো।

ভারত যদি পিয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তাহলে বাংলাদেশের বাজারে আরও অস্থিরতা দেখা দেবে। সরকার তুরস্ক ও মিসরের বাজারকে বিকল্প ভাবলেও বাস্তবতা হচ্ছে- এসব দেশ থেকে পিয়াজ আনা বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই এক্ষেত্রে যথাযথ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সরকারকে জনস্বার্থ বিবেচনা করে অবশ্যই পিয়াজের মূল্য স্বাভাবিক রাখার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper