ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্যাসিনো ধ্বংস করছে সমাজ

জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯

রাজধানী ঢাকায় শতাধিক ক্যাসিনো (জুয়া খেলার আসর) থাকার বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগ জাগানিয়া। এতে মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আরও ভয়ানক। আর এর সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের যোগসূত্র থাকা সবচেয়ে নেতিবাচক। উন্নত দেশে অবাধে এ জাতীয় কাজ সংঘটিত হলেও আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা কখনো মঙ্গলজনক নয়। উন্নয়নশীল তকমা নিয়ে এখন আমরা উন্নয়নের কাজে ধাবমান। এই উন্নয়নের অংশ হিসেবে সারা দেশে মাদক নির্মূল, ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বন্ধ করাও জরুরি। প্রশাসন-সরকারও এ বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর।

সম্প্রতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর সোচ্চার হয়েছে ঊর্ধ্বতনরা। বহিষ্কারসহ অনৈতিক কাজের জন্য শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। এমনি অপরাধকর্মের জন্য আইনের আশ্রয়েও আনা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

রাজধানীর গুলশান থেকে একজন ক্ষমতাবান নেতাকে গ্রেফতারের পর ফকিরাপুলে তার নিয়ন্ত্রিত ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল মাদক, টাকা, এমনকি নারীর ব্যবসাও ধরাশায়ী হয়েছে। সত্য যে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা দখল করে এদের মতো অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। কিন্তু কেউই যে আইনের বাইরে যায়নি তা সবাই টের পাচ্ছে।

খোলা কাগজ প্রতিবেদন বলছে, রাজধানীর সব সুউচ্চ ভবনের ছাদে ক্যাসিনো খোলা হয়েছে। এসব জায়গায় দৈনিক কোটি টাকার বেশি আদায় হয়। এর পাশাপাশি প্রত্যেকটি স্থানে মাদকও ব্যবহার হচ্ছে। মূলত জুয়া খেলার ব্যবসার জন্যই এসব ক্যাসিনো গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে কোটিপতি বনে গিয়ে দেশের বাইরেও ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতে যান, দেশীয় সম্পদও হচ্ছে পাচার। আর শত শত উঠতি তরুণ-যুবক এসব জায়গায় জুয়া খেয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। ক্যাসিনোকেন্দ্রিক মাদকেও অনেকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এমনকি ‘মধুচক্র’ও চলছে অনেক ক্যাসিনোতে।

সত্য হলো, এখন দেশে ‘অতিধনী’র সংখ্যা কম নয়। তা ছাড়া, অনেকেই অসৎ ব্যবসা বা কাজের মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন। একটা নির্দিষ্ট সময়পর ধরাও পড়ছে অপরাধগ্রস্তরা। তবে, দেশের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে অপকর্ম বন্ধ করতে হবে সমূলে। সরকার-প্রশাসন তৎপর হলে দুর্নীতি-অপরাধ ঠেকানো খুব কষ্টসাধ্য হবে না। কিন্তু এই জায়গাগুলোতেই যদি অপরাধীরা বসে থাকে তাহলে কিছুই করা সম্ভব হবে না।

সম্প্রতি সরকার এবং প্রশাসনে নিযুক্ত অসৎ লোকজন যেভাবে পাকড়াও হচ্ছে তা অতুলনীয়। এই ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিনগুলোয় সৎ এবং যোগ্য ব্যক্তিকে জায়গা দিলে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন অবধারিত হবে। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান ব্যক্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই এ কারণে যে, তিনি তার নিজের দল নয় বরং দেশের কথা বিবেচনা করে নিজের দলীয় লোকজনকে আইনের আশ্রয়ে আনছেন। এখন থেকে ক্যাসিনো, মাদক, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি জাতীয় গুরুতর অপকর্ম রোধে আর কোনোরূপ ছাড় নয়। আর এটি দেশবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper