ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সড়কে ফেরেনি শৃঙ্খলা

আইন মানতে হবে সবাইকে

সম্পাদকীয়
🕐 ১০:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯

জীবনের প্রয়োজনেই আমাদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এজন্য গণপরিবহনে চলাচলসহ পথচারী হিসেবে আমরা যখন পথ চলি, সবসময়ই চোখ-কান খোলা রাখতে হয়। এভাবে পথ চলাতে আনন্দ নেই, সবসময় ভয় নিয়েই আমাদের পথে বের হতে হয়। কারণ রাস্তায় চালকরা বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এদিকে পথচারীরা ট্রাফিক আইন মানে না, আবার পথচারী হয়ে আইন মেনে ফুটপাতে দাঁড়ালেও বাসের হাত থেকে নিস্তার মেলে না। এভাবেই বিশৃঙ্খলার নীরব অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে আমাদের শহরের রাস্তাঘাট।

খোলা কাগজে প্রকাশ, মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে দেশের সড়কপথ। বাস-ট্রাক, মিনিবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ও এর চালকরা হয়ে উঠেছে মৃত্যুদূত। যাত্রী-পথচারীরা নিরাপদে ঘরে ফিরবেন সে নিশ্চয়তা নেই। চালকের বেপরোয়া মনোভাব, মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, ওভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও চালকের অদক্ষতার কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীর অসচেতনতাও এজন্য দায়ী। কিছু কিছু চালক এতটাই বেপরোয়া, রাস্তার পাশে দাঁড়ানো যাত্রী পিষে দিচ্ছে, আবার কিছু চালক গাড়ি নিয়ে সরাসরি উঠে যাচ্ছে ফুটপাতে। কেউ কেউ ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জেরে যাত্রী গাড়ির নিচে ফেলে পিষে চলে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দায়ী চালকদের গ্রেফতার করা হলেও আইনের ফাঁক গলে দিব্যি বেরিয়ে আসছে। পরিবহন সেক্টরের নেতারা সাফাই গাইছেন, দুর্ঘটনার পেছনে যাত্রীদের অসচেতনতাসহ নানা অব্যবস্থাপনা দায়ী।

আলোচিত দুর্ঘটনাগুলো নিয়ে সরকার যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এর ফলাফল আর আলোর মুখ দেখে না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুর্ঘটনা রোধে টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে দুর্ঘটনা রোধ হবে। কিন্তু অতীতেও সরকারিভাবে অনেক উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিবহন প্রকৌশল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন সেক্টরকে একটি সমন্বিত সিস্টেমের আওতায় না আনা গেলে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সচেতন মহলের ভাষ্য, পরিবহন মালিকদের লোভের বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পরিবহন নেতারা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চালকদের পক্ষ নেয়। তাদের কাছে সরকার অসহায়। এর আগে কড়া শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সড়ক আইন করা হলেও তাদের বাধার মুখে বিষয়টি থমকে গেছে।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সরকারের বদ্ধপরিকর মনোভাব দরকার। সাধারণ যাত্রীদের প্রশ্ন, আর কত মানুষ মরলে সড়কে মৃত্যুর মহামারি থামবে। নিরাপদ সড়কের জন্য আর কত রক্ত ঝরাতে হবে? সড়কে এমন বিশৃঙ্খলা আমরা মোটেও প্রত্যাশা করি না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যেভাবে সচেতনতা নিয়ে কথা হয়, সে সচেতনতা দুর্ঘটনার আগেই তৈরি হওয়া উচিত। তাই অনেক হতাশার মাঝেও সবার ট্রাফিক আইন মেনে চলার মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরুক, আমরা সে আশাই করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper