ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সমুদ্র সম্পদের ব্যবস্থাপনা

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯

সমুদ্রের সুবিশাল সীমানায় ভৌগোলিকভাবে আমাদের কর্তৃত্ব আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে স্বীকৃত হওয়ায় বাংলাদেশের সম্মুখে এখন অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে। সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে প্রয়োজনীয় রিসোর্স দরকার, সেজন্য আমাদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ইতোমধ্যে যে তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে তা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।

বিশেষ করে শুধু সেমিনারকেন্দ্রিক গবেষণা নয়, বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমুদ্রবিজ্ঞান নামে বিভাগ খোলা হয়েছে। তবে উচ্চশিক্ষা খাতে সমুদ্রকেন্দ্রিক গবেষণার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সীমানায় নিজেদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি হচ্ছে।

পত্রিকায় প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ইন্ডিয়ান ওশ্যান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ব্লু ইকোনমিবিষয়ক মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির (ব্লু-ইকোনমি) সর্বোচ্চ সুফল পেতে অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যেন সম্মিলিতভাবে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারি। প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি জোরাল আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ও উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে এবং সবার কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব। তবেই ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৯ বিলিয়ন মানুষের জীবনধারণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এ সুনীল অর্থনীতিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। সমুদ্রে অব্যবহৃত ও এর তলদেশে অ-উন্মোচিত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে এ অঞ্চলে যার যার টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করার সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাসহ বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।

আমি আশাবাদী-আপনারা এখানে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে একজোট হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, যাতে এ অঞ্চলে একটি অভিন্ন টেকসই সুনীল অর্থনৈতিক বেষ্টনী গড়ে ওঠে। সমুদ্রকে কেন্দ্র করে সংগঠিত সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এটা সত্য যে, সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে কূটনৈতিক তৎপরতার কোনো বিকল্প নেই। কারণ নিজস্ব সম্পদের ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে আমাদের অবশ্যই কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। তাছাড়া ইতোমধ্যেই সমুদ্রের সম্পদ কাজে লাগানোর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেক্ষেত্রে সুদূরপ্রয়াসী পরিকল্পনা গ্রহণ করে অগ্রসর হওয়া দরকার।

আমরা আশা করি, যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদ আমাদের দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper