ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জাবিতে যাচ্ছেতাই পরিস্থিতি

শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯

দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, মানসম্পন্ন শিক্ষকবৃন্দ, সম্পূর্ণ আবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থায় অবদান রাখার প্রথম সারিতেই রয়েছে। অনেক কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর কাছে জাবিতে পড়া এক রকম স্বপ্নের মতো। এখান থেকে পড়া শেষ করে অনেকেই দেশের প্রশাসনের উঁচু জায়গায় স্থান পায়। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ জলঘোলা হচ্ছে। যা প্রশ্নবিদ্ধ করছে জাবি প্রশাসনকে।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য এই অর্থবছরে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাস হয়। এরপর উন্নয়নমূলক প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে বেশ কিছু আবাসিক হল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ চালু হতেই অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। বিচ্ছিন্নভাবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করা হচ্ছিল। এমনকি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রাখতে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট গ্রুপকে টাকা দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে। এরপর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে।

বেশি কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একাংশ। যদিও এসব প্রকল্প নিয়ে কোনো কারচুপি বা নয়ছয় হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাবি প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আন্দোলন চলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরিতে যারা সেখানে অধ্যায়নরত আছেন তারাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি বিষয় খোলাসা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই। আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘দুর্নীতি’ কিংবা ‘টাকা দেওয়া না দেওয়ার’ বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। জাবির মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

এমনিতেই দেশের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র দেখা যায়। এর মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থাও রয়েছে। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র কিংবা ভর্তিবাণিজ্যও নতুন কিছু নয়। সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় বিগত সময়ে তা কমলেও থেমে যায়নি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ নিয়েও যদি কারচুপি হয় তবে চলবে কীভাবে? বছর বছর উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা অর্থায়ন করা হয় প্রত্যেক বিভাগে। কিন্তু তার কয়টা সফলভাবে শেষ হয় সে জবাবদিহিতা কাউকে করতে হয় না।

জাবি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘অর্থ ভাগাভাগির’ অভিযোগে যে আন্দোলন হচ্ছে তা তাদেরই সমাধান করতে হবে। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সবরকম আন্দোলন-অভিযোগ মিটিয়ে জাবি প্রশাসনকেই শিক্ষক-ছাত্রদের নিজ নিজ কাজে ফেরাতে হবে। যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাই নিজ উদ্যোগে জাবি প্রশাসনকেই সব পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper