ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অ্যাকর্ড চাইছে বিজিএমইএ

গার্মেন্টের ইমেজ নিয়ে ভাবতে হবে

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে কদর বিশ্বব্যাপী। আমাদের অর্থনীতিতেও সবচেয়ে বড় অবদান এই খাতের। দীর্ঘ সময় পর বর্তমান সরকার এবং বিদেশি সংগঠনের উদ্যোগে গার্মেন্ট শিল্পের পরিবেশ স্থিতিশীল। বিপুল সংখ্যক কর্মী দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিলেও তাদের ভোগান্তি দেখা যায় এখনো। নিয়মিত ও যথাযোগ্য বেতন-ভাতা, দুর্ঘটনাজনিত নিরাপত্তা, নির্যাতন নিয়ে গার্মেন্ট কর্মীদের হয়রানি হতে হয়। তাজরীন ফ্যাশনে আগুন, রানা প্লাজার মতো কয়েকটি বড় দুর্ঘটনার পর দেশি-বিদেশি সংস্থার উদ্যোগে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক বছর আগে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্রেতা দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড নামে একটি সংস্থা। বিগত কয়েক বছরের চেষ্টায় তৈরি পোশাক শিল্পের ইমেজ ফিরিয়ে আনে এই সংস্থা। কিন্তু অবশেষে আদালতের নির্দেশ ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ থেকে কর্মকাণ্ড গুটিয়ে নিচ্ছে সংস্থাটি। অ্যাকর্ডের কার্যক্রম শ্রম মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে। এ পরিস্থিতি শ্রমিকদের উন্নয়নে নতুন সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিদেশি সংস্থা হয়েও অ্যাকর্ড পোশাক শিল্প নিয়ে যে কাজ করেছে বিজিএমইএ তার কতটা ঠিকঠাকভাবে ধরে রাখতে পারবে এখন সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অ্যাকর্ডের বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন গার্মেন্ট পরিদর্শন, সমস্যা সমাধান, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা-অভিযোগ প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছে। গার্মেন্ট সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আমাদের দেশে কোনো ট্রেড ইউনিয়ন না থাকায় শ্রমিকদের ভুগতে হয়। আর এখন তাদের নিয়ে কাজ করা অ্যাকর্ডের অগ্রগতিও নিতে চাইছে বিজিএমইএ।

আগামী দিনগুলোতেও তৈরি পোশাক শিল্প অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে নিঃসন্দেহে। যে কারণে পোশাক শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের গুরুদায়িত্ব। অ্যাকর্ড তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে আপত্তি নেই। আর শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে অ্যাকর্ডের অগ্রগতি বিজিএমইএর হাতেও যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু যদি সত্যিই বিজিএমইএর হাতে শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি যায় তবে তার ফল কতটা ভালো হবে তা ভাবতে হবে শ্রম মন্ত্রণালয়কে।

আমরা চাই, তৈরি পোশাক কারখানা নিয়ে কাজ করা অ্যাকর্ডের অবদান টিকে থাকুক। বিজিএমইএ হোক আর শ্রম মন্ত্রণালয়ই হোক, পোশাক শিল্পের ইমেজ রক্ষা করাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper