আবারও ভস্মীভূত বস্তি
কবে মিলবে মুক্তি
সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ঈদের ছুটি কাটতে না কাটতেই ভস্ম হয়ে গেল রাজধানীর মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি। ডেঙ্গু আতঙ্ক নিয়ে ঈদের শেষ প্রান্তে নিঃস্ব হলো হাজার হাজার বস্তিবাসী। আগের ঘটনাগুলোর রেশ এখনো কাটেনি। চকবাজার-বনানীর ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে উঠে পড়ে লাগলেও আগুনের লেলিহান শিখায় ক্ষতি থামেনি। এবারের আগুনে হতাহত কম হলেও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। নিম্নশ্রেণির মানুষ হওয়ায় বস্তিবাসীর ভবিষ্যৎ আজ পথহীন। এখন পুনর্বাসন দরকার তাদের। সেই সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
খোলা কাগজের প্রতিবেদনে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বস্তির মাঝধানে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পুড়ে যায় সবটুকু। এমনকি পাশর্^বর্তী ভবনেও আগুন লাগে। এখন ক্ষতিগ্রস্তরা ভস্ম হওয়া স্থানে সন্ধান করছেন কিছু অবশিষ্ট আছে কি না। এভাবে কিছুদিন পরপরই ভয়াবহ আগুনে রাজধানীবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। নিহতের সংখ্যাও কম নয়। অথচ আগুনের প্রভাব থেকে কোনোভাবেই মুক্তি মিলছে না। এবারের আগুনেও ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করেছে। তারপরও পুড়ে গেছে সম্পূর্ণ বস্তি। এর আগেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে উদ্ধার কাজ চালিয়েছে। কিন্তু রাজধানীর ঘিঞ্চি এলাকা ও ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই চরম বেগ পোহাতে হয় তাদের। অনেক ক্ষেত্রেই করার কিছু থাকে না।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বারবার সব পক্ষকে সচেতন হওয়ার কথা বললেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই প্রতিটি পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। চলন্তিকা বস্তির মাঝখানে আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। চকবাজারেও জনবহুল এলাকা এবং ভবনে জায়গার স্বল্পতায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বনানীতেও জনসম্মুখে নিহতের ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন পর পর এমন ঘটনা ঘটায় সর্বক্ষণ আতঙ্কে থাকছেন রাজধানীবাসী। আগুন নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ মানুষ তৎপর হলেই কেবল এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
এবার বস্তির প্রায় তিন হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একরকম ভাগ্যের জোরেই নিহতের ঘটনা ঘটেনি। তাই বলে, আগুন নিয়ে হেলা করা চলবে না কোনো মতেই। আর রাজধানী যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তাতে সার্বিক পরিস্থিতিও খুব সুবিধাজনক নয়। চলন্তিকার মতো অনেকগুলো বস্তি রয়েছে। এর আগেও বস্তিতে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
এবারের আগুনে যে ক্ষতি হয়েছে সে জন্য সরকার কর্তৃক বস্তিবাসীর জন্য অনুদান-পুনর্বাসন প্রয়োজন। একই সঙ্গে সরকারি উদ্যোগে বস্তিবাসীর জন্য ভবন তৈরির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। আগুন, সড়ক, ডেঙ্গু- এ জাতীয় যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সরকার এবং কর্তৃপক্ষকেই সামাল দিতে হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228