ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শুরু হয়েছে ঈদযাত্রা

ভোগান্তি রোধে একাগ্র থাকুন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০১৯

বছরের দুই ঈদের শেষ ঈদ আসন্ন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে যে যেখানে আছে সেখান থেকেই নাড়ির টানে ছুটছে সবাই। নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান হলেও উৎসবের আমেজ থেকে বাদ যাচ্ছে না কেউ। শুরু হয়েছে সবার ঈদযাত্রা। প্রতিবছরের মতো এবারও যোগ হচ্ছে রাস্তার ভোগান্তি। অগ্রিম বাস-ট্রেনের টিকিট জোগান দিতে পারেনি সাধারণের চাহিদার। ভাড়া নৈরাজ্যও যুক্ত আছে যাত্রী হয়রানির তালিকায়। আর, ভাঙাচোরা রাস্তার দুর্ভোগ থেকেই যাচ্ছে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে এও আরেক বড় সমস্যা। অর্থাৎ, এই ঈদযাত্রায়ও স্বস্তি মিলছে না বেশির ভাগের।

দেশের কেন্দ্রবিন্দু রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ছুটছে সব মানুষ। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বাস টার্মিনালগুলোতে রাত-দিন সমান ভিড় থাকবে। কমলাপুরসহ রাজধানীসংলগ্ন রেলস্টেশনগুলোতে উপচেপড়া ভিড় থাকছেই। সদরঘাটের চিত্র কারও অজানা নয়। বছরের দুই ঈদেও যদি পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে কর্তৃপক্ষের কাজ কী? ভাড়া নৈরাজ্য, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী তোলা, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা; এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরী আবহাওয়া ও যানজট। সড়ক এবং রেলপথের তুলনায় নদীপথ এবার বিপজ্জনক। যে কারণে, লঞ্চে যাতায়াতের ব্যাপারে সতর্কতার বিকল্প নেই। চলমান বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কোনোভাবেই যেন ওভারলোড জাহাজ, লঞ্চ, ফেরি, নৌকা চলাচল না করে সে বিষয়েও সর্তকতা জরুরি।

প্রতিবার ঈদের আগে আমরা বলি, যাত্রা পথে যেন ভোগান্তি কমে। বাসের টিকিট সংকট এবং ভাড়া নৈরাজ্য, ট্রেনের স্বল্পতা এবং নৌপথে লাখ লাখ মানুষের চাপের কারণে কোনো দিকেই সুবিধা হয় না। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোগান্তির হিসাব মাথায় রেখেই রওনা হন। সাধারণের সুবিধা চিন্তা করে পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত প্রশাসন উদ্যোগ নিলে দুর্ভোগ কমতো নিঃসন্দেহে। দুঃখের বিষয়, বছর বছর সুবিধা দিতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয় কমই। যদিও চাহিদার বিপরীতে সড়ক, নৌ ও রেলপথের চাহিদা বেশি থাকায় এমনটা হয়। তারপরও যা আছে সেগুলোর সুষ্ঠু বণ্টন করা গেলে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে অনেক মানুষ।

বাড়তি ভাড়া, জীবনের ঝুঁকি, বাহনের স্বল্পতাসহ যানজটের ভোগান্তিতে একদিন রওনা দিয়ে পরের দিন বাড়ি পৌঁছায় অনেকে। গত ঈদুল ফিতরেও মাওয়া ঘাট, পাটুরিয়া ঘাট, বঙ্গবন্ধু সেতুতে জটলা ছিল। ভাঙাচোরা রাস্তা এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িও ভোগান্তি আরেক কারণ। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই শক্ত হাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী যাতায়াতের বিষয়টি তদারকি করতে হবে। পয়েন্টে পয়েন্টে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মীরা যদি তাদের দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালন করেন তাহলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে ঈদযাত্রা নিরাপদ হওয়াই দেশবাসীর একমাত্র চাওয়া।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper