ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রক্তাক্ত যুক্তরাষ্ট্র

আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৫, ২০১৯

পৃথিবীর প্রথম সারির রাষ্ট্রগুলোতে একের পর এক ভয়ানক ঘটনা ঘটে চলেছে। কয়েকদিন পর পরই অস্ত্রধারীর হামলায় নিহতের ঘটনা ঘটছে। বন্দুক-বোমায় প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত মানুষ। নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কায় হামলায় নিহত হয়েছেন তিন শতাধিক। সেই ধারাবাহিকতায় এবার কয়েকদিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে নিহত হলেন কমপক্ষে ৩৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।

মানুষের নিরাপত্তা দিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র বানানো হলেও দিন দিন সেগুলোই মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর এ জাতীয় ঘৃণ্য অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ঝুঁকির বাইরে থাকছে না।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং ওহাইওতে পৃথক ঘটনায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩০ জন নিহত হলেন। এর ঠিক কয়েক দিন আগে খাদ্য উৎসবে একই কায়দায় খুন হলেন কয়েকজন। ক্রমবর্ধমান হারে এমন ঘটনা ঘটছে। ওই সন্ত্রাসীদের কেউ ‘অভিবাসীবিরোধী’, কেউ ‘শেতাঙ্গ’ বললেও তারা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়েই এ জাতীয় ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু আসল কথা হলো- অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। অন্য দেশগুলোতে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ম সংকীর্ণতায় খুব সহজে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

যত দিন যাচ্ছে উদ্বেগ তত বাড়ছে। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির বাইরে এসে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যে যার মতো করেই চর্চা শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে এ পরিস্থিতি যে আরও খারাপ রূপ নেবে তা বোঝাই যাচ্ছে। অন্যদিকে, জঙ্গিবাদের মতো জঘন্যতম বিষয়ও চাড়া দিয়ে উঠছে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কতিপয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে দমিয়ে রাখা গেলেও তারাই পুনরুত্থান করছে। আবার, তাদের বাইরে গিয়ে প্রায় একই একই উদ্দেশে নিউজিল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্রে হামলা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সারা বৈশ্বিক এক সময় অরাজকতা সৃষ্টি হবে। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটও তারই জানান দিচ্ছে।

আমাদের দেশও এ জাতীয় ঘটনার বাইরে থাকছে না। মাঝে-মধ্যে জঙ্গিবাদের তথ্য প্রকাশ হচ্ছে। সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে কঠোর হাতেই সেগুলো দমন করছে। কিন্তু তারপরও স্থানে স্থানে আধুনিক অস্ত্র ও বোমার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। একাধিক পুলিশ বক্সের কাছে বোমা রাখার তথ্যও হারিয়ে যায়নি। সবার মনে আছে হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির কথা। এ জাতীয় ‘পুরনো ঘা’ কোনোভাবেই যেন নতুন করে জেগে উঠতে না পারে, সে ব্যাপারে অধিক সতর্কতার বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারানো এবং তাদের পরিবারের জন্য আমরাও শোকাহত। সবকিছু মিলিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা এখন গুরুদায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper