ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুধ নিয়ে তুঘলকি

দ্রুত সমাধান চাই

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০১, ২০১৯

দুধ নিয়েও কম জলঘোলা হচ্ছে না। ভেজাল বা ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়ায় দুধ খাওয়া-বিক্রিতে সতর্কতা জারি হয়েছে। সবচেয়ে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার দুধেও ভেজাল থাকার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিক, সিসার মতো ক্ষতিকর উপাদান মেলায় হাইকোর্টের নির্দেশে দুধ খাওয়া বন্ধ হলো। বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা উঠলো। আবার তা রদও হলো। কিন্তু তারপরও দুধ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটছে না। শিশুসহ সব বয়সের মানুষের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় দুধ থাকলেও অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে খেতে সাহস পাচ্ছে না। আর দুধ ব্যবসায়ীদেরও মাথায় হাত।

গুঁড়ো দুধ, পাস্তুরিত কোম্পানির দুধ কিংবা খোলা বাজারের দুধ; কোনোটাতেই স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ ভোক্তারা। বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ, এর পর দুধ খাওয়া বন্ধ করাসহ চৌদ্দ কোম্পানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং আবারও তা পুনরায় চালু; এ বিষয়টি নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে রয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। স্বয়ং আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং একই সঙ্গে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদের বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা সমালোচনা চলছেই। অতঃপর সার্বিক বিবেচনায় ওই সব কোম্পানির দুধ বিক্রিতে করা নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে দুধ বিক্রি এবং ব্যবহারে আর কোনো বাধা নেই। তবুও আশ্বস্ত হচ্ছে না সাধারণ।

আমাদের দেশে অনেক কিছুর মতো গুণগত মান এবং পুষ্টিসম্পন্ন খাবারেও নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে ‘ভেজাল’ শব্দটিই বেশি জড়িত। একে তো শাক-সবজি, মাছ-মাংস বেশির ভাগ খাবার দিন দিন সঙ্কর হচ্ছে, অন্যদিকে ফরমালিন-মেলামিন নামক কেমিক্যাল স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমেও তা দূর করা যাচ্ছে না। দুধ নিয়েও বিদ্যমান যে সমস্যা চলছে তাও পুরনো ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। আর যাই হোক খাবারের মান নিয়ে আপস করা উচিত নয়। কেননা, জাতির বুদ্ধিবৃত্তি এই খাবারের ওপরই নির্ভর করে।

আমরা চাই, দুধ নিয়ে সব ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক। একই সঙ্গে যে কোনো প্রকারে হোক তা সাধারণের জন্য নিরাপদ। রাষ্ট্রের উচিত সব নাগরিককে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া। এতে যদি শক্তিশালী আইনও প্রয়োগ করতে হয় তা হবে সাধারণের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। আর দেরি না করে বাজার ব্যবস্থাপনা আরও ঢেলে সাজাতে হবে। কৃষির উন্নয়নসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রত্যেক সংস্থাকে তৎপর থাকতে হবে। দুধের বিষয়টিরও স্থায়ী সমাধান চায় সবাই। আর জলঘোলা না করে নিয়মিত তদারকি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ দুধ সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যারা খাবারে ভেজাল কিংবা অন্য রাসায়নিক ব্যবহার করবে তাদেরও আইনের বিধান অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিও গ্রহণ করা যেতে পারে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper