ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অগ্রিম টিকিট সোনার হরিণ

ভোগান্তি রোধে পদক্ষেপ নিন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৯

ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে আবারও আমাদের মাঝে সমাগত মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উৎসবে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতে সবাই যখন অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে, তখন প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা যাত্রীদের টিকিট সংকটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যথারীতি টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা পেতে হচ্ছে অনেককেই।

অনলাইনে টিকিট পাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তাতে সংকটের সমাধান হচ্ছে না বরং অনলাইনে টিকিট না পেয়েই টিকিট কাউন্টারে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকছে না। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষ আগামী ৮, ৯ ও ১০ আগস্টের বাসের অগ্রিম টিকিট পাচ্ছেন না।

গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সরেজমিন দেখা যায় ৮, ৯ ও ১০ আগস্টের অগ্রিম টিকিট নিতে যাত্রীদের দীর্ঘলাইন। কিন্তু কোনো কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে না ওই সব দিনের টিকিট। কারও পক্ষেই এ সোনার হরিণের নাগাল পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে অগ্রিম টিকিটের জন্য আসা যাত্রীরা বিভিন্ন কাউন্টারে ঘুরছেন। কাউন্টারগুলোতে ওই তিন দিনের বাসের টিকিট নেই বলে জানানো হচ্ছে।

টিকিটপ্রত্যাশীরা জানান, ঈদের ছুটির সঙ্গে মিল রেখেই বাড়ি যেতে হবে। কিন্তু এর আগে বা পরের টিকিট দিয়ে কী হবে-এমন প্রশ্নও তোলেন টিকিট কিনতে ব্যর্থ কয়েকজন। পরিবহন মালিক-শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, কাউন্টারের পাশাপাশি যেসব নির্দিষ্ট বাসের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে দেওয়া হয়েছে সেগুলোরও অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।

অন্যদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, অগ্রিম টিকিট বিক্রির বেশিরভাগ চলে গেছে কালোবাজারিদের হাতে। তা না হলে ৮, ৯, ১০ তারিখের টিকিট শেষ হয়ে যাওয়া রহস্যজনক। পরে বাড়তি দামে এসব টিকিট বিক্রির পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়।

টিকিট নিয়ে এমন নৈরাজ্য আমরা প্রতিবছর দেখে থাকি। যার ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য দুর্ভোগ পোহানো যেন এক রীতি হয়েই দাঁড়িয়েছে। অথচ এমন অব্যবস্থাপনা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। সমস্যা সমাধানে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে কর্তৃপক্ষের বরাতে অনেক বক্তব্য দেওয়া হলেও তা বাস্তবে সেভাবে দৃশ্যমান হয় না। অথচ দেশের গণপরিবহন খাতে সাধারণ মানুষের আস্থার শেষ জায়গাটি হচ্ছে সরকারের সিদ্ধান্ত। তাই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বিআরটিসির পক্ষ থেকে ঘরমুখো মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বাসসহ বিশেষ ট্রিপের ব্যবস্থা করা উচিত। এছাড়া বাসের টিকিটের ক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য বিরাজ করছে, সেটি দূর করার জন্য আমরা সরকারের কঠোর মনিটরিং প্রত্যাশা করছি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper