ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনা

লক্ষ্য বাস্তবায়নে দৃঢ় হতে হবে

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯

চার শতাধিক নদী নিয়ে নদীমাতৃক সোনার বাংলা। অনেককাল আগে থেকেই এই অঞ্চলে নদীগুলো প্রবহমান। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মতো সমাদৃত নদীগুলো বাংলাদেশের গর্ব এবং সম্পদ। শুধু সম্পদই নয় আদালতের নির্দেশে নদী এখন জীবন্তসত্তা। কিন্তু দূষণ, দখল এবং নাব্য সংকটে অনেক নদীই মৃতপ্রায়। রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী নদীগুলোর দিকে তাকানো যায় না। সেগুলোর চিত্র খুবই করুণ। কল-কারখানা ও মনুষ্য বর্জ্যে জর্জরিত তাদের চেহারা। দখলের কবলে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নাব্য সংকট। নদীসংযুক্ত খালগুলো রয়েছে সীমাহীন ভোগান্তিতে। আর তা রক্ষা করতেই মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর চারপাশের পাঁচ নদী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দুই নদী বাঁচাতে ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। দূষণের কারণ চিহ্নিত, বেদখল এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার মাস্টারপ্ল্যানে নদীসংযুক্ত খালগুলোকে সংস্কার করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনায় দূষণ-দখল রোধসহ নদীগুলোর নাব্যতা ফিরে আনা হবে। আশা করা হচ্ছে, এই মহাপরিকল্পনা ঠিকঠাকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এই নদীগুলোর কোনো সমস্যা থাকবে না। এখন সরকার নির্ধারিত কাজ দেখার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।

আমরা দেখেছি এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই রাজধানী এবং চট্টগ্রাম শহরকেন্দ্রিক নদীগুলোর দূষণ-দখলের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে সংশ্লিষ্টরা। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলমান ওই অভিযান এখন থেকে আরও ব্যাপকভাবে পরিচালিত করতে হবে। উদ্ধার করা অংশ যেন পুনরায় দখল না হয় সে ব্যাপারেও নিয়মিত তদারকি করতে হবে। আর দূষণরোধে নিতে হবে কার্যকর উদ্যোগ। একই সঙ্গে যারা দূষণ এবং দখলের সঙ্গে জড়িত তাদের অপরাধ হলে শাস্তি এবং না হলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। মহাপরিকল্পনায় তিনটি সমস্যার দুটি অর্থাৎ, দূষণ এবং দখল রোধ করা করা গেলে তৃতীয় সমস্যা নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বেগ পোহাতে হবে না।

এর আগে বারবার অভিযানে নেমেও দূষণ-দখল রোধ করা নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্যে অনেক সময় ব্যাহত হয়েছে কার্যক্রম। পুরান ঢাকা থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানান্তর করা হলেও বুড়িগঙ্গার দূষণ থামছে না। অতএব এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। তাদের সে ক্ষমতাও রয়েছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শহরবিস্তৃত নির্ধারিত খালগুলোকে উদ্ধার করে নাগরিক জীবনে একটি সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনোভাবেই এই কার্যক্রম যেন ঝিমিয়ে না পড়ে কিংবা থেমে না যায় সে বিষয়টির দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সোজা কথায়, দুই বড় শহর এবং নদীগুলোর প্রাণ বাঁচাতে এই মহাপরিকল্পনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হোক।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper