ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কাটছে না ডেঙ্গু আতঙ্ক

গা-ঝাড়া দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৯

ডেঙ্গু আতঙ্কে ঘুম হারাম রাজধানীবাসীর। মশারি ব্যবহার করলেও কাটছে না ভয়। এবারের বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জ্বরের প্রকোপে নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যমে এ নিয়ে হইচই পড়লেও থামছে না প্রকোপ। উল্টো দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রাজধানীর মশক নিধন কার্যক্রমও চলছে নামমাত্র। বলা হচ্ছে, নিধনযজ্ঞেও ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা কমছে না। অপরদিকে কর্তৃপক্ষের কাজে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না নগরবাসী। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে খোদ মন্ত্রী পর্যায়ের লোকজনও ভয়ে দিনযাপন করছেন। তারপরও প্রয়োজনানুসারে নিধন কার্যক্রম চলেছে না।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই শতাধিক রোগী। শুধু ভর্তি নয় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারাও গেছে শিশুসহ বেশ কয়েকজন। তারপরও ডেঙ্গু মোকাবিলা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। এমনিতেই বর্ষার মৌসুমে পরিষ্কার পানিতে ডেঙ্গু বিস্তার লাভ করছে, অন্যদিকে তা থামাতে রাজধানীবাসীর দেখভালে নিয়োজিতদের মাথাব্যথা নেই। এই পর্যায়ে সম্বল হয়েছে ব্যক্তি সচেতনতা। অথচ এর দায়ভার এড়াতে পারে না দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)।

প্রতি বছর রাজধানী পরিষ্কার এবং মশন নিধন বাবদ অনেক টাকা বরাদ্দ থাকে। বলা প্রয়োজন এবং সবাই জানেও, জনগণের কাছ থেকেই সেই টাকা সংগ্রহ করে সরকারসংশ্লিষ্ট বিভাগ। অথচ জনগণের সেবায় তা ব্যয়ের নজির এ যাত্রায় দেখা যাচ্ছে না। যদি হতো তবে রাজধানীজুড়ে মশা থাকার কথা নয়। বেশ কয়েক বছর আগে উন্নয়ন কাজ চলাকালে ব্যাপক মশার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। তখন ডেঙ্গুর প্রভাব তেমন ছিল না বিধায় বেঁচে গিয়েছিল সাধারণ জনগণ। কিন্তু এবার তো এই রোগই রাজধানীবাসীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন নিস্তারের উপায় সীমিত ঢাকার বাসিন্দাদের।

ডেঙ্গু হওয়ার আগেই যদি একচেটিয়া মশক নিধন করা হয় তবে নিশ্চিন্তে থাকবে সবাই। এমনিতেই ঢাকা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে আছে এখানে বাস করা নাগরিকমহল। তার ওপর নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে মরণঘাতী ডেঙ্গুজ্বর। মশা ধ্বংস না হওয়ার অজুহাত ছেড়ে নিধনের জন্য এখনো সময় আছে। যেহেতু রাজধানী ঢাকাই দেশের প্রাণকেন্দ্র তাই এই জায়গাটি তথা এখানকার বাসিন্দাদের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তাদের রক্ষা করতে হবে। দুই সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং এখানে নিযুক্ত নির্বাহী লোকজনের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করতে হবে যাদের দায়িত্ব থাকবে ‘মশকনিধন’। মশা তথা ডেঙ্গু নিয়ে আর হেলাফেলা চলবে না। এখনোই গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে হবে দায়িত্বশীলদের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper