ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বর্ষা মোকাবেলায় সমন্বয়হীনতা

নগরবাসীর স্বস্তি নিশ্চিত করুন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৯

নগরে বৃষ্টি কাক্সিক্ষত, রয়েছে বৃষ্টি পরবর্তী আতঙ্কও। রাজধানী ঢাকায় অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। একটু বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। বর্তমানে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে চলছে ভয়াবহ বন্যা। ব্যাহত হচ্ছে নগরবাসীর জীবন। ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। এর বাইরে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বন্যাকবলিতরা। অল্পদিনের ব্যবধানে বর্ষা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না রাখা জন্ম দিচ্ছে আশঙ্কার। চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সামান্য বৃষ্টিপাতেই ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছিল জলাবদ্ধতা। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল সব শ্রেণির সাধারণ মানুষকে।

আষাঢ় মাস প্রায় শেষ হতে চলেছে। আসছে শ্রাবণ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শ্রাবণধারায় ভিজতে পারে রাজধানী। বর্ষা তার চরিত্র অনুযায়ী আচরণ করলে রাজধানীবাসীর কপালে এবার দুর্ভোগ আছে-বলার অপেক্ষা রাখে না। রান্নাঘর দেখে যেমন মানুষের রুচি বোঝা যায়, রাজধানী দেখেও অনুমান করা যায় একটি দেশের বৈশিষ্ট্য। এখানটায় এসে একটু থমকাতে হয়। নানা কারণে ঢাকার সমস্যা বাড়ছে। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে এ শহর। দেশের সব জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব শ্রেণির প্রতিনিধি ভিড় জমাচ্ছে। বিপুল এ জনসংখ্যার আবাসনসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থার সমন্বয় করতে ঢাকাকে দিতে হচ্ছে চড়া মাশুল।

নানাবিধ সমস্যার সমাধান না করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো সমস্যা বাড়াচ্ছে। রাজধানীর দুই সিটি উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে রয়েছে সমন্বয়ের মারাত্মক অভাব। দুই সিটির সঙ্গে ওয়াসা, টিএনটি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর নেই কোনো যুক্তি-পরামর্শ। যে কারণে এক সংস্থা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি শেষ করলে শুরু করে অন্য সংস্থা! এসবে নগরবাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও সয়ে না গিয়ে উপায় নেই। রাজধানীর খালগুলোও দখল করেছে দুর্বৃত্তরা। দখলকৃত খাল ও নালা উদ্ধারে তৎপরতা নেই। অন্যদিকে ড্রেনেজের ব্লক চিহ্নিত করে সারানোর উদ্যোগে রয়েছে গড়িমসি মনোভাব। সব মিলিয়ে নগর ঢাকার ‘গভীর অসুখ এখন’।

আসন্ন বর্ষাকে ঘিরে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ প্রস্তুতি না থাকাও উদ্বেগজনক। নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, ঢাকার সার্বিক সমস্যা সমাধানে একটা সুপার অথরিটি তৈরি করা যায়, যারা সুশাসন, পরিচালন ও সমন্বয়ের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে। সংস্থাগুলোর কাজের গতি বাড়ানোরও পরামর্শ দেন তারা। আমরা প্রত্যাশা করব, নগরবাসীর স্বস্তি নিশ্চিতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। বৃষ্টি যেন অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হয়ে আসে-সেই প্রস্তুতি নিতে হবে সত্বর। বাগাড়ম্বর কিংবা পরিস্থিতি অনুকূলে জাতীয় সংলাপ শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে আসে না।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper