ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ধানের দাম কমছেই

কৃষককে রক্ষা করুন

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৮:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৯, ২০১৯

এবার বোরো ধানের উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক বেশি ধান উৎপাদন হলেও কৃষকের তাতে কোনো লাভ তো হলোই না উল্টো ক্ষতিই হয়েছে। চাষাবাদের খরচ মিটিয়ে বাজারে ধান বিক্রি করে লোকসানের মুখ দেখেছে বেশির ভাগ প্রান্তিক কৃষক। এরপর সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলো। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান-চাল ক্রয় এবং রপ্তানির যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলো তা থেকেও লাভবান হলো না কৃষকই। অর্থাৎ এখনো তাদের ক্ষতির পাল্লাই ভারী।

খোলা কাগজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কয়েক জেলার ধান-চাল বিক্রিতে কৃষকের ক্ষতির চিত্র। দেখা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের নওগাঁয় ধানের দাম কমেছে মনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা, বগুড়ায় কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং কুষ্টিয়ায় এক সপ্তাহে এই দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা কমেছে। এই তিন জেলার মতোই প্রায় প্রতি জেলাতেই ধানের দাম নিম্নমুখী। একদিকে, সরকার থেকে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না।

অন্যদিকে, দালাল, মধ্যস্বত্বভোগী এবং প্রভাবশালী ব্যাবসায়ীরও দৌরাত্ম্য কমছে না। যে কারণে ধানের দাম নিচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তা ছাড়া, নির্ধারিত সময়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে তা খুবই সীমিত।

সত্য যে, বিপুল পরিমাণ ধান সংগ্রহ করে তা গুদামজাত করার উৎকৃষ্ট ব্যবস্থা এখনো দেশে তৈরি হয়নি। যে কারণে চাল সংগ্রহের দিকেই কর্তৃপক্ষের ঝোঁক। চাল সংগ্রহে অগ্রগতিও হয়েছে তুলনামূলক বেশি। তা ছাড়া, দেশীয় ধানের পর্যাপ্ত জোগান থাকায় ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে চাল আমদানি বন্ধে বেশি পরিমাণ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও, উদ্বৃত্ত ধান কিংবা চাল রপ্তানিতে এখনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ফলে ধান গুদামজাত করা কৃষক পড়েছেন উভয় সংকটে। কোনোভাবে লাভের মুখ দেখছেন না তারা।

একদিকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াচ্ছে, অন্যদিকে সুষ্ঠু বণ্টন হচ্ছে না। দেশের অর্থনৈতিক দিক শক্তিশালী হওয়া বা করার পথে এ বিষয়টি নিশ্চয়ই নেতিবাচক। দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নে কৃষি খাত তথা কৃষকের অবদানও অসামান্য। খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে যারা দেশের মানুষের ভরণ-পোষণ জোগাচ্ছেন তাদের দেখাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ধানের দাম কমার পেছনে যে কারণই থাকুক না কেন তা দূর করতে হবে সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রশাসনকে। ন্যায্যমূল্যে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে তাদের ক্ষতি দূর করতে হবে অল্প সময়ের মধ্যেই।

এক্ষেত্রে যে সব বাধা বা অন্তরায় থাকবে তাও পরিষ্কার করতে হবে। আমরা কোনোভাবে চাই না কৃষক শ্রেণি লোকসানের মুখ দেখুক। বিষয়টি সমাধানে সংশ্লিষ্টদের আরও তৎপর হতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper