ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গেমসের ছোবলে কিশোর-তরুণ

সচেতন হতে হবে এখনই

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯

প্রযুক্তির উন্নয়নে প্রতিদিনই মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন পণ্য। একটু সচ্ছল হলেই এ সময়ে স্মার্টফোন-ল্যাপটপ থাকা স্বাভাবিক। এগুলো দৈনন্দিন কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে এর একদিকে যেমন ভালো গুণ রয়েছে, অন্যদিকে থাকছে নেতিবাচক প্রভাব।

স্মার্টফোন-কম্পিউটারে ভিডিও গেমস নেতিবাচক দিকগুলোর অন্যতম একটি। কিছুদিন আগেও ‘ব্লু হোয়েল’ নামক এক গেমে ‘নেশাগ্রস্ত’ হয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানের ‘পিইউবিজি বা পাবজি ওয়ারফেস’ নামক এক গেম কিশোর-তরুণের মাথা কিনে নিচ্ছে।

ইন্টারনেটভিত্তিক ভার্চুয়াল খেলা পাবজিতে আসক্ত অনেক কিশোর-তরুণ। বাদ যায় না যুবক মধ্যবয়সীরাও। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়েছে এই নাম। আরও একটু ভালো স্মার্টফোনে এই গেমের সুবিধার থাকায় তা অনায়াসেই খেলতে পারছে ইচ্ছুকরা। শহরে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। পড়ালেখা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, প্রত্যক্ষ খেলাধুলা (ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি) বাদ দিয়ে অনেক ছেলেমেয়েই এখন পাবজিতে নেশাগ্রস্ত। কোনো রূপ বাধা না থাকায় এখন এতেই বিপুল সময় এবং মেধা নষ্ট করছে আমাদের বর্তমান প্রজন্ম। অথচ এখন তাদের থাকার কথা পড়ায়, খেলার মাঠে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে। ভবিষ্যত গড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে হচ্ছে ঠিক এর উল্টো।

বাহ্যিক জগৎ বাদ দিয়ে এখনকার ছেলেমেয়েরা বেছে নিচ্ছে স্মার্টফোন-ইন্টারনেটভিত্তিক ভার্চুয়াল জগৎ। অনলাইন গেম পাবজির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ভয়ানক। খুনোখুনির এই গেম খেলে কিশোর-তরুণের মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া, নেতিবাচক মানসিকতা তৈরিতেও এর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। সোজা কথায়, এখান থেকে ভালো কিছু করা বা হওয়ার সুযোগ নেই। আজকাল যেহেতু প্রত্যেকের হাতেই একটি করে স্মার্টফোন দেখা যায়, তাই যে কোনো সময় এই গেমের প্রবৃত্তি তৈরি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। বন্ধুবান্ধবের সংঘবদ্ধ এই গেমের মাধ্যমে অপরাধপ্রবণতাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যান্ত্রিক জীবন এবং কর্মব্যস্ততায় আমাদের অভিভাবকদেরও সন্তানদের প্রতি উদাসীনতা রয়েছে। শিশু বয়সেই হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে অনেকেই নিজের অজান্তে সন্তানের ক্ষতি ডেকে আনছেন। স্মার্টফোনে অনেক ভালো প্রোগ্রাম থাকলেও সেগুলোর ব্যবহারে কিশোর-তরুণের তৎপরতা নেই।

আমরাও যেকোনো দিন খবর পাব, এই গেমসের প্রভাবে কোথাও অন্যায় সংঘটিত হয়েছে যে আশঙ্কা অমূলক নয়। আঠারো বছর বয়সের নিচে কিশোর-তরুণদের স্মার্টফানের প্রবৃত্তি থেকে দূরে রাখাও অভিভাবকদের দায়িত্ব। অথচ তেমনটি দেখা যায় না। মোদ্দাকথা, স্মার্টফোনে অনলাইন গেম বাদ দিয়ে কিশোর-তরুণদের মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করায় অনুপ্রাণিত করতে হবে। স্মার্টফোনের ভালো-মন্দের দিকগুলোও তাদের সামনে এমনভাবে তুলে ধরতে হবে, যেন তারা বুঝতে পারে এর ইতিবাচক-নেতিবাচক প্রভাব। প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper