ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যাংকঋণে ঘাটতির জোগান

নিখুঁত বিশ্লেষণ জরুরি

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৯

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব করেছে টানা তৃতীয়বারের ক্ষমতাসীন দল। পাঁচ লাখ কোটি টাকার উপরে এই বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। এই বাজেট পাস হলে ঘাটতি পূরণে সরকারকে বৈদেশিক অনুদান এবং দেশীয় ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে। এমনিতেই আমাদের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা সুখকর নয়। তা ছাড়া তারল্য সংকটও বিদ্যমান। এখন সরকারি খাতেই ব্যাংকগুলো অর্থের জোগান দিলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমবে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতায় বেসরকারি খাতে শঙ্কা সৃষ্টি করছে।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পাঁচ শতাংশ ঘাটতি প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি। এর মধ্যে দেশীয় ব্যাংক সরকার ৪৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ধার নিতে চাচ্ছে। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় আসন্ন বাজেটে এর পরিমাণ ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সব হিসাব মিলিয়ে নতুন অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় বেশি টাকা ধার নেওয়া হচ্ছে। যার ব্যাংক খাতের জন্য সুখকর হবে না।

এদিকে, বিগত কয়েক বছর ধরেই খেলাপি ঋণের প্রভাবে ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এখন সরকারই যদি এতগুলো টাকা ঋণ নেয় তাহলে বেসরকারি খাতের অবস্থা আরও নাজুক হবে। অন্যদিকে এমনিতেই ব্যাংক আমানতের বড় অংশ সঞ্চয়পত্রের দিকে চলে যাচ্ছে, সেখানে সুদহারও বেশি। আর সেখান থেকেই টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। এখন যদি সঞ্চয়পত্র থেকেই আগের তুলনায় বেশি টাকা নেওয়া হয় তবে এর প্রভাব পড়বে বেসরকারি খাতে যা ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

আমরা আগেও বলেছি, বাজেট পাসের আগে অন্তত সবদিক বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্যাংকিং খাতে সরকারের ভর্তুকির বিষয়টি ইতিবাচক। দেশের সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা মুষ্টিমেয় কিছু লোকে হাতে আটকে আছে। তাই ঋণখেলাপিদের লাগাম টেনে ধরাও সরকারের গুরুদায়িত্ব। তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ে কঠোর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ব্যাংক থেকে আবারও ঋণ নেওয়া ভালো বিষয় হবে না। তাছাড়া, ব্যাংক থেকে এত ঋণ নিলে আমাদের বেসরকারি শক্তিশালী পোশাকশিল্প কিংবা সেবা খাতেও সমস্যা বাড়বে। মোট কথা, বাজেট পাসের আগেই ঘাটতির জোগান নিয়ে সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper