বৈঠকে তিস্তা-রোহিঙ্গা সমস্যা
সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০১৯
বাংলাদেশ-ভারতের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঁচ মাস আগে ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশ এবং ১৬ দিন আগে ড. এস জয়শঙ্কর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি তাজিকিস্তানে উল্লেখযোগ্য এক সম্মেলনের মধ্যেই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে তিস্তা চুক্তি, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে ভারত। স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু। একে অপরের সহযোগিতায় দুই দেশেরই অনেক উপকার হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করি, পুরনো দিনের মতোই আমাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে ভারত।
বৈঠকে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এস জয়শঙ্কর এবং নরেন্দ্র মোদির সমর্থন প্রত্যাশা করেন। তখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। অতিদ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান ভীষণ জরুরি। একদিকে তিস্তা ব্যারাজের কারণে পানি সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ, আবার অপরিকল্পিত মাত্রায় পানি প্রবাহে ভেসে যাচ্ছে অনেক অঞ্চল। তাছাড়া, সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটকসহ মারা পড়ছেন অনেক বাংলাদেশি। অথচ ভারতের কোনো নাগরিকের ক্ষেত্রে এমনটি হচ্ছে না।
বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন। এমনিতেই সীমিত ভূমিতে আমাদের জনসংখ্যা বাড়তি। তার ওপর রোহিঙ্গারা এসে ‘বোঝার ওপর শাকে আঁটি’ হয়ে বসে আছে। আন্তর্জাতিক চাপেও মিয়ানমার গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে পারে।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা এবং প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো সমাধান করেছেন। আমরা চাই, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিকট এই বার্তা পৌঁছাবে এবং দ্রুত দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে তিস্তা চুক্তি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করবে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক বিদ্যমান তা অন্য দেশগুলোর অনুকরণীয়। একে অপরকে সহযোগিতার এই সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতেও অটুট থাকবে বলেই বিশ্বাস।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228