ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

থেরেসা মে’র পদত্যাগ

ব্রেক্সিট ইস্যুর সুরাহা হোক

সম্পাদকীয়
🕐 ৮:৫১ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৯

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে আসছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানান তিনি- আগামী ৭ জুনে পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য পাচ্ছে নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু যে ইস্যুতে পদত্যাগ করছেন থেরেসা মে, সেই একই সংকট নতুন প্রধানমন্ত্রী কোন মন্ত্রবলে মোকাবেলা করবেন- দেখতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

এক বক্তৃতায় থেরেসা মে জানান, ২০১৬ সালের ইউপোরিয়ান ইউনিয়নের গণভোটের ফলের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর চেষ্টা করেছেন। দুঃখজনক ঘটনা, ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারেননি। নতুন প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন মে। টরি দল থেকে ৭ জুন পদত্যাগের পর নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। দলীয় পদ এবং প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়াকে জীবনের বড় সম্মানের বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন প্রবীণ এ নেতা।

৪৬ বছর ধরে যুক্তরাজ্য ইইউ সদস্য। ইইউ ছাড়তে প্রায় তিন বছর আগে গণভোট হয়। তখন ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৫২ শতাংশ, বিপক্ষে ৪৮। ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর তৃতীয় দফা ভোটের আগে থেরেসা মে বলেছিলেন, চুক্তি পাস হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। কিন্তু এরপরও চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন আইনপ্রণেতারা। মার্গারেট থ্যাচারের পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে যুক্তরাজ্যের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেন মে। তিনি গণভোটে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালান।

পণ্য আমদানিতে কাস্টমসের ঝক্কিতে না যাওয়া, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছে ব্রেক্সিট। এ চুক্তি থেকে বেরুলে উভয় পক্ষকেই মাশুল দিতে হবে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের জন্য নতুন করে সীমানা নির্ধারণ, কাস্টম প্রথা চালু এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। এর জন্য দেশটির প্রস্তুতি কতটুকু তা বিবেচনায় নিয়ে এবং না নিয়েও দাঁড়িয়ে গেছে দুটি পক্ষ। একদল ব্রেক্সিটের পক্ষে, অন্যদল বিপক্ষে। নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ থেরেসা মে। পৃথিবীর অনুন্নত দেশগুলোর নিপীড়িত নারীরা তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হতেন। অনুপ্রেরণার উৎস মের বিদায়ই শেষ কথা নয়। সমস্যা থেকে গেছে আকরেই। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের উচিত, জল ঘোলা না করে ব্রেক্সিট ইস্যুর সুষ্ঠু সুরাহায় উদ্যোগী হওয়া।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper