ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সময়ের আগেই সেতু সম্পন্ন

সব প্রকল্প এমন হওয়া চাই

সম্পাদকীয়
🕐 ১০:১৫ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৯

উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ। দেশজুড়ে চলছে শত শত প্রকল্পের কাজ। বেশির ভাগ প্রকল্প সম্পন্ন করতে নির্ধারিত সময়ের বেশি ব্যয় হয়। এতে খরচের পরিমাণও বাড়ে। তবে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতু সম্পন্ন হয়েছে জাপানি কোম্পানির হাতে। শুধু তাই নয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে খরচও হয়েছে কম। এমন দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে বিরল। যেখানে বড় মাপের একটি প্রকল্প শেষ করতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়, সেখানে সময় এবং অর্থ কম ব্যয় করে প্রকল্প সম্পন্ন এক প্রকার দিবাস্বপ্ন। কিন্তু তা সত্যি হয়েছে।

 

খোলা কাগজের প্রতিবেদন বলছে, মূল চুক্তির এক মাস আগেই জাপানি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছে। শুধু তাই নয়, মেঘনা এবং গোমতী দ্বিতীয় সেতুর জন্য বরাদ্দকৃতের চেয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা কম খরচেই সম্পন্ন হয়েছে সেতুগুলো। ১৯৯১ এবং ১৯৯৫ সালে জাপানি প্রতিষ্ঠানই পুরনো মেঘনা এবং গোমতী সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করেছিল। নিঃসন্দেহে বলা চলে, নির্ধারিত সময় বা তার আগে প্রকল্প শেষ এবং খরচ কম হওয়া বা করা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানেরই কৃতিত্ব।

আমাদের দেশেও অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দেশে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রকল্পগুলো শেষ করতে নির্ধারিতের চেয়ে অধিক সময় পার হয়ে যায়। এতে করে ব্যয়ের পরিমাণও বাড়ে। তা ছাড়া, নিম্নমানের কাজের কথা হরহামেশাই শোনা যায়। দেশের মাটিতে নিজেরা অবকাঠামো তৈরি করতেও হেলাফেলা-অনিয়ম করে দেশীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। তবে ভালো করার উদাহরণও আছে যা নগণ্য। আসল কথা হচ্ছে, জাপানি এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। প্রকল্পে সময়ক্ষেপণ এবং ব্যয়বৃদ্ধির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে দেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

পদ্মা সেতু প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল প্রকল্প, বিআরটিএ লাইন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মহাসড়কসহ সারা দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলমান। দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এগুলোর দায়িত্ব পালন করছে। আমরা আশা করি, আগে না হোক নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন প্রতিটি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। অবশ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা অন্য কারণে প্রকল্পে দেরি হলে তা মেনে নেওয়া যায়।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper