ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডাকসুর কার্যক্রমে ভাটা

সমন্বয়ে এগিয়ে যেতে হবে

সম্পাদকীয়
🕐 ১০:০৫ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৯

দীর্ঘ ২৮ বছর পর নানা নাটকীয়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন সম্পন্ন হয়। ভোট এবং ফলাফল প্রকাশ নিয়েও ছিল দ্বন্দ্ব। তবে, সব চড়াই উতরাই পার করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নুরকে সহ-সভাপতি (ভিপি) এবং ছাত্রলীদের গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) করে ডাকসুর প্যানেল গঠিত হয়। শিক্ষার্থীর অধিকার রক্ষায় শক্তিশালী এই সংগঠনটির কাছে অনেক দাবি এবং আশা থাকলেও আসলে তা পূরণ হচ্ছে না। উল্টো অধিকার রক্ষা ব্যতীত এখন সবাই আখের গোছাতেই বেশি ব্যস্ত। এছাড়া একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তো আছেই।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নির্বাচনের দুই মাসেও সমন্বয় গড়ে ওঠেনি ডাকসুর ভিপি-জিএসের মধ্যে। যে কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকারভিত্তিক কর্মসূচি, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং সাংস্কৃতিক কোনো কর্মকা-ের উদাহরণ দেখা যায়নি। উল্টো পহেলা বৈশাখের মতো গুরুত্বপূর্ণ একাধিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে ক্ষমতাবানরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এবং স্বার্থ সংরক্ষণেই ব্যস্ত। এরই ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলে ডাকসু নিয়ে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। যারা ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষার্থীর অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসবে তাদের যদি কর্মপরিকল্পনা না থাকে তবে চলবে কীভাবে?

আমরা দেখেছি, ডাকসু নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা ইশতেহার প্রকাশের মাধ্যমে আশার ফুলঝুরি ছড়িয়েছেন। অথচ, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর থেকেই তাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। তাছাড়া সেখানে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেও এক সংগঠনে চরম সমন্বয়হীনতা বিরাজ করছে। ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’ হিসেবে খ্যাত ডাকসুর যদি এই অবস্থা হয়, তবে এখান থেকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বেরিয়ে আসা কষ্টকর হবে। যত তাড়াতাড়ি অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল মিটবে তত তাড়াতাড়ি মঙ্গল হবে ডাকসু এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর।

আমরা চাই, ডাকসু সবসময় স্বতন্ত্র এবং শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিত হোক। অতীতেও অনেক বাধা-বিপত্তি এবং আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে ডাকসু। নির্বাচিতদের মধ্যে কোনো ধরনের বিবাদ বা দ্বন্দ্ব মানেই তা সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য ক্ষতি। বিষয়টি ডাকসুর প্যানেলের সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। পাশাপাশি, প্রচলিত রাজনীতির সঙ্গে ডাকসুকে কখনোই একান্তকরণ করা চলবে না। অতিদ্রুত ভিপি-জিএসকেই সমন্বয়হীনতাসহ সব ঝামেলা মিটিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় ডাকসুকে একটি কার্যকর সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper