কম ওজন নিয়ে শিশুর জন্ম
পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে হবে
সম্পাদকীয়
🕐 ৯:২০ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০১৯
পৃথিবীব্যাপী কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর তালিকায় ১০ দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। বিষয়টি দেশের জন্য উদ্বেগজনক বটে। বৈশ্বিক হিসাবে তা লজ্জাজনক। আমাদের দেশে অভাব-দুর্ভিক্ষ না থাকার পরও কেন কম ওজন নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করছে, এ প্রশ্ন অমূলক নয়। কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিতে দেখা দেয় নানা সমস্যা। জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে পর্যাপ্ত। এক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুহার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খোলা কাগজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য ল্যানচেট গ্লোবাল হেলথ’ বলছে, জন্মের সময় নবজাতকের গ্রহণযোগ্য ওজন হলো ২ দশমিক ৫ কিলোগ্রাম। অথচ, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া শতকরা ২৭ শিশুর ওজন এর থেকে কম। দীর্ঘ গবেষণা শেষে ল্যানচেট এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে তাদের মতে, নির্ধারিত ওজনের কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুর মৃত্যুহারও অনেক বেশি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানেও দেশে জন্ম নেওয়া শিশুর অবস্থা তেমন ভালো নয়।
বিগত কয়েক বছরে শিশুমৃত্যুর হার কমলেও অপুষ্টিজনিত কারণে মায়েরা কম ওজনের শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। এছাড়া বাল্যবিয়ে এবং খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবও এর জন্য দায়ী। ভেজাল খাবারের কারণে শিশুর কম ওজন এবং শারীরিক সমস্যা হওয়াটাও অমূলক নয়।
আমরা জানি, একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের ওপর। অথচ, ভবিষ্যতের কর্ণধার সেই শিশুটিই যদি ওজন কম বা অপুষ্টিজনিত সমস্যা নিয়ে পৃথিবীতে আসে তবে তা দেশের জন্য কল্যাণকর নয়। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে খাদ্য মন্ত্রণালয়, সরকারসংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।
সেইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনাসহ এনজিওগুলোকেও একযোগে কাজ করতে হবে। একটি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী শিশুর জন্ম এবং তার বিকাশে জনসচেতনতারও বিকল্প নেই। সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এ জাতীয় সমস্যা সমাধান করতে হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228