ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৫২ পণ্যে ভেজাল

জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৪০ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০১৯

খাদ্যে ভেজাল নিরসনের দাবি- আন্দোলন অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। সব কিছুতেই ভেজাল; এমন ধারণা দেশবাসীর। তবে, ধারণা হলেও তা সত্য। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় ৫২টি পণ্য নিম্নমানের এবং ভেজাল প্রমাণিত হওয়ায় জনমনের আতঙ্ক চরমে উঠেছে। হাইকোর্ট ইতোমধ্যেই এই পণ্যগুলো বাজার থেকে তুলে নিতে আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর জনস্বাস্থ্য বিবেচনা এবং বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদন দাখিলের পর ওইসব পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হলেও এতদিনে সাধারণের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন বলছে, বিএসটিআই সম্প্রতি বাজারে গোপনে অভিযান চালিয়ে পণ্যের ৪০৬টি নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এর মধ্যে নামিদামি ৫২টি পণ্য নিম্নমানের এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে বিএসটিআই। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে হাইকোর্টসহ সরকারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ প্যাকেটজাত লবণ, তেল, গুঁড়া হলুদ, লাচ্ছা সেমাই এবং বোতলজাত ভেজাল পানি খেয়ে আসছে। অথচ, সাধারণের নিরাপত্তায় দেশে শক্তপোক্ত আইন এবং সরকারি সংস্থা থাকা সত্ত্বেও কখনো ভেজাল নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বছরের পর বছর মুনাফালোভী-অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে নিম্নমানের ভেজাল খাবার খেয়ে মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়েছে সাধারণ। এর মধ্যে ক্যান্সার, কিডনি রোগ, হৃদরোগ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্য লবণের মধ্যে সঠিক পরিমাণে আয়োডিন না থাকায় দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ আয়োডিনের ঘাটতিতে ভুগছে। একটি দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে শুধুমাত্র ‘ভেজাল’ যথেষ্ট সমর্থ। আরও ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, শুধু কতিপয় ওই পণ্যগুলোই নয় বরং বাজারে এখনো শাকসবজি-ফলমূল-মাছ-মাংসেও অনেকে অনায়াসে ভেজাল মেশাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সাধারণের স্বাস্থ্যে।

আমরা বলতে চাই, জনস্বাস্থ্য বিবেচনাসহ একটি মেধাবী-শক্তিশালী জাতি গড়ে তুলতে হলে অচিরেই খাবারে ভেজাল রোধ করতে হবে। সরকার যেমন করে মাদক-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তেমননি দুর্নীতি-অনিয়মের তথা ভেজালের বিরুদ্ধেও এই নীতি গ্রহণ করতে হবে। ভেজালরোধে কতিপয় অসৎ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য চিরতরে বন্ধ করতে হবে। ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণে যেসব আইনকানুন রয়েছে সেগুলোর ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে। ‘উন্নয়নের’ দোহাই দিয়ে জনবলের ‘অভাব’ অজুহাতে কোনোভাবেই ভেজালকে এড়িয়ে যাওয়া চলবে না।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper