ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভোটের পর রাঙ্গামাটিতে ব্রাশফায়ার

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জরুরি

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

নির্বাচনকালে সহিংসতার ঘটনা আমাদের দেশে নতুন কিছু নয়। একাধিক খুনের ঘটনাও আছে তথ্যের ঝুলিতে। তবে, সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে এবার রাঙ্গামাটিতে ভোটের পর দুর্বৃত্তের ব্রাশফায়ারে নিহত হলেন বেশ কয়েকজন নির্বাচনী কর্মকর্তা। এর আগে দলীয় লোকজনের মধ্যে সহিংসতা সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার রক্ষা পেল না নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তারা। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা বিবেচনায় বিষয়টি অতি নিন্দনীয়। পার্বত্য অঞ্চল হলেও যেহেতু সেটি রাষ্ট্রের নিজস্ব ভূখণ্ড এবং সেখানেও আইনকানুন সমান, তাই ওই অঞ্চলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

খোলা কাগজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার পাঁচ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের পর রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সবাই সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনের পর ভোটসামগ্রী নিয়ে ফেরার পথে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এদের মধ্যে স্কুলশিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণও রয়েছেন। বড় কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্ব›দ্বী কিংবা ভোটের সময় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটা সত্ত্বেও সেখানে নিরপরাধ মানুষের ওপর এমন সহিংসতা চালানো হলো। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তারসহ আইনি বিধান অনুযায়ী, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এখন বিশেষ জরুরি হয়ে পড়েছে।

পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক আগে চুক্তি হলেও কিছুদিন পর পর সেখানে খুনের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটছে। গণমাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও সে তথ্য রয়েছে। এর মানে হলো, নৃগোষ্ঠী-বিস্তৃত ওই এলাকায় এখনো প্রকৃত শান্তি ফিরে আসেনি। দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেখানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোরও সেখানে তেমন কার্যকর ভূমিকা নেই। ওই অঞ্চলটি মূলত, বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। আর তারাই ক্রমে ক্রমে একে-অন্যের প্রতি সহিংস হয়ে উঠছে। এতেই অকালে প্রাণ ঝরছে নিরীহ মানুষের।

আমরা বলতে চাই, পার্বত্যাঞ্চলসহ দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। পার্বত্যাঞ্চল আমাদের পর্যটন শিল্পেরও অংশ তাই এ বিষয়টি নিয়েও ভাবতে হবে। আমরা মনে করি, দেশের সরকারি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের এভাবে খুন করা মানে সরকার এবং আইনকে তুচ্ছ জ্ঞান করা। আর এই বিষয়টি দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য নেতিবাচক। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পার্বত্যাঞ্চলে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সেখানে বসবাসরত সব মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে, এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper