জাতির পিতার জন্মদিন
হৃদয়ে অমলিন থাকুক তার কীর্তি
সম্পাদকীয়
🕐 ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
আজ ঐতিহাসিক ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং জাতীয় শিশুদিবস। ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির জন্ম। গণমানুষের হৃদয়ের নেতা এবং জাতির জনক আমাদের মাতৃভাষা, মাতৃভূমি এবং স্বাধীনতা রক্ষা করতে এই দিন আবির্ভূত হয়েছিলেন। তারপর থেকে দীর্ঘ সংগ্রামে দেশ ছাপিয়ে তিনি মহান হয়েছেন বিশ্ব দরবারে। আজ ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে আমরা ভক্তিভরে স্মরণ করি এই মহান নেতাকে, যিনি না এলে হয়তো আমরা পেতাম না মা, মায়ের ভাষা এবং সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাকে।
গোপালগঞ্জের অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম নিয়েও এই মহান নেতা ধারণ করেছেন প্রতি হৃদয়ের অনুভূতিকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, কুলি-মজুর-চাষাসহ প্রতিটি মানুষের ঘনিষ্ঠ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। জন্মের শর্তবর্ষ গত হতে চললেও মৃত্যুর পরও তার কীর্তি তাকে বানিয়েছে ‘অমর’। শুধু বাংলা ভাষাভাষীর মানুষই নয় বরং বিশ্ব বিবেক আজও স্মরণ করে এই মহান নেতাকে। প্রায় দুশ বছরের ব্রিটিশ শাসনের শেকল ভাঙতে এবং ১৯৪৭ সালের ভারতবর্ষ বিভাগের পর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাঙালির অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই মহাদেশ থেকে ইংরেজরা বিতাড়িত হওয়ার পর নতুন করে নির্যাতন-নিপিড়ন শুরু করে পাকিস্তানি শাসকরা। সেই অত্যাচার থেকে বাঙালীকে মুক্তি দিতে জাতির পিতা অমানুষিক অত্যাচারের শিকার হন। তার সাহসিকতা এবং বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদ এবং লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে বাঙালির স্বাধীনতা এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণ হয়। অথচ এর কয়েক বছর যেতে না যেতেই অশুভ শক্তি তার পেছনে পরে। যার ফলশ্রুতিতে পরিবারসহ শহীদ হন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু করুণাময় সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তার রক্তের ধারা থেকে যায় দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার ভেতর।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে উপলক্ষ করেই দেশে পালন হয় জাতীয় শিশু দিবস। বলা বাহুল্য, প্রতিটি শিশুই পবিত্র এবং তাদের চরিত্রে সঙ্গে পরিপক্ব বঙ্গবন্ধুর দর্শনেরও মিল ছিল। শিশুরার যেমন খারাপ বা নেতিবাচক চিন্তা করতে পারে না তেমনি বঙ্গবন্ধুও কোনো দিন দেশ, দেশের মানুষকে নিয়ে খারাপ কিছু ভাবতে পারেননি। দেশের সব মানুষকে নিয়ে একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। আমরা চাই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা নির্মাণ হোক, সেই সঙ্গে জাতির পিতার আদর্শ অমলিন থাকুক প্রতিটি হৃদয়ে। এই জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228