ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নিউজিল্যান্ডে বন্দুকধারীর হামলা

অল্পের জন্য বাঁচল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

সম্পাদকীয় ১
🕐 ৯:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এতে অর্ধশতের বেশি লোক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন প্রবাসীও নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। তবে, মাত্র ‘পাঁচ’ মিনিটের দেরিতে বেঁচে গেলেন সেই দেশে সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিকাংশ সদস্য। ভয়াবহ ওই হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘটনাটিকে ‘সবচেয়ে অন্ধকার দিন’ উল্লেখ করে সব মসজিদ এবং স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এক শোকবার্তায় নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী জুমার নামাজ আদায়ের সময় মুসল্লিদের ওপর হামলা চালং শ্বেতাঙ্গ এক যুবক। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ঘোষণা দিয়ে চালানো ওই হামলার পুরোটাই সরাসরি ভিডিও করে দেখানো হয়। নারকীয় এই ঘটনার পর সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্দেহজনক কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। উগ্রপন্থী এক শ্বেতাঙ্গ যুবক মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। প্রায় দুইশ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং ১৬০টিরও বেশি ভাষার শান্তি প্রিয় ওই দেশে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।

এদিকে, বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের অনুশীলন এবং সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনের কারণে পবিত্র জুমার নামাজ আদায়ে দেরি হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যদের। আর এতেই স্টেডিয়ামের কাছাকাছি অবস্থানরত ওই মসজিদে ঘটে যায় প্রায় ২০ মিনিটের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। মেঝেতে রক্তের বন্যা আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে মসজিদ এলাকা। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা ওই হামলাকারী ইউরোপে সংঘটিত জঙ্গি হামলার বদলা হিসেবেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এমন ঘটনার পর বিশ্ব বিবেক আবারও বিরাট ঝাঁকুনির সম্মুখীন হলো। শান্তিপ্রিয় দেশ হলেই যে সেখানে হত্যা-হামলা হবে না, সে কথাও আজ ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে প্রকাশ পেল।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কিছুদিন পর পর এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। এক একটি ঘটনা যেন একটি লাশের-শোকের মিছিল। মানুষের মধ্যে দিন দিন মানবিকতা কমছে, বাড়ছে সহিংসতা। এমন ঘটনা ঘটাতে অনেকেই হয়ে উঠছেন আত্মঘাতী। আমরা কখনোই চাই না এ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। পৃথিবীর সকল মানুষের মনে মনুষ্যত্ব জেগে উঠুক ও আবির্ভূত হোক ভ্রাতৃত্ববোধ। নির্বিচারে এমন হত্যা অতি অপ্রত্যাশিত। নিহতের পরিবারের হাহাকারে আমরাও গভীরভাবে ব্যথিত। গত হওয়া প্রতিটি প্রাণ পরপারে শান্তিতে থাকুক, এই-ই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper