পাট রপ্তানিতে ধস
কার্যকর উদ্যোগ নিন
সম্পাদকীয়-২
🕐 ১০:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০১৯
সোনালি আঁশ বলে খ্যাত দেশের অর্থকরী ফসল পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার ও রপ্তানি নিয়ে নেতিবাচক চিত্র মোটেও নতুন কিছু নয়। তবু এ ক্ষেত্রে পাটের সুদিন ফেরাতে আশার আলো দেখানোর মতো উদ্যোগ এখনো দৃশ্যমান নয়। অথচ কিছুদিন আগে বেশ জমজমাটভাবেই পাট মেলার আয়োজন হয়েছিল। সেখানে বেশ ইতিবাচক কথাই বলা হয়েছিল পাটের উন্নয়নে।
পত্রিকায় প্রকাশ, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে শনির দশা কিছুতেই ছাড়ছে না। সরকার পাটের ব্যবহার ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে নানাভাবে চেষ্টা করলেও রপ্তানিতে এর প্রভাব পড়ছে না। বরং পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রপ্তানিকারকরা বলছেন, কাঁচা পাটের দাম বেশি, অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে বিদেশি ক্রেতাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া, পাট রপ্তানিতে ভারতে অ্যান্টি ডাম্পিং কর বসানো ও আর্থিক খাতের অস্বচ্ছতার কারণে মন্দ ব্যবসায়ীরা বেশি সুযোগ পাওয়ায় পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে।
পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমে যাওয়ার পেছনে বিদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সঠিক দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে দরকষাকষিতে সক্ষমতা হারানো, ব্যাংকিং খাতের কঠোরতার অভাব ও সরকারি মিলগুলোর অসম প্রতিযোগিতার কারণকে চিহ্নিত করছেন ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে তারা জানাচ্ছেন, পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে এ বছর আয় কমে যাওয়ার যে চিত্র সরকারিভাবে দেখানো হয়েছে তাতে সঠিক চিত্র নেই। গত বছরে পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে যে আয় হয়েছিল একই সমান বা তার চেয়ে বেশি পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে এবার তার চেয়ে কম টাকা এসেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জুলাই-ফেব্রুয়ারি ৮ মাসে পাট রপ্তানি হয়েছে ৫৬০ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলারের। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ কম।
একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫০ মিলিয়ন ডলার কম। আমরা পাটের এ বেহাল দশা দেখতে চাই না। পাট সংকটে বিরাজমান দুর্দশা কাটিয়ে পাট আবারও তার সোনালি আঁশের মর্যাদা ফিরে পাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228