ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বহুল প্রত্যাশার ডাকসু নির্বাচন

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হোক

সম্পাদকীয়-১
🕐 ১০:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০১৯

বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় সংসদ’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। একই সঙ্গে হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল সংসদ নির্বাচন। ছাত্র সংগঠনগুলো ভীষণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করেছে এই নির্বাচনের। জাতীয় নির্বাচনের মতো বড় পরিসরে ডাকসুর নির্বাচন না হলেও, এটি যে সারা দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে তা বলাই বাহুল্য। কেননা, এখান থেকেই দেশের বড় বড় নেতৃত্ব বেরিয়ে আসার পাশাপাশি ছাত্রসমাজও তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করে নিতে পারে।

দৈনিক খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, সিংহভাগ ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি উপেক্ষা করে ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলেই রাখা হয়েছে। এতে নিয়ন্ত্রিত বা একতরফা নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। যে কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি-না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। যেহেতু প্রায় ২৮ বছর পর হতে চলেছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত ডাকসুর নির্বাচন, তাই এ নিয়ে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা নাটকীয়তা কাম্য নয়। দেশের ‘মেরুদণ্ড’ শক্তিশালী করতে হলে ডাকসুকে করতে হবে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ। অন্যথা হলে এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।

ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলতে চাই, কোনোভাবেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠের ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে প্রয়োজনে সব রকমের পদক্ষেপ নিতে হবে। আর যে বিষয়টি ভাবতে হবে তা হলো-ডাকসু নির্বাচনের ভোট নিয়ে যেন কোনো ষড়যন্ত্র বা তা বানচালের চেষ্টা না হয়। ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিতসহ রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে। ডাকসু সচল করা গেলে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা মনে করি।

বলতেই হয়, দেশ পরিচালনায় বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং আমলার বেশিরভাগই আসে ঢাবি থেকে। যে কারণে এখানকার নির্বাচন ‘নিয়ন্ত্রিত’ বা কারচুপির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা হবে অতি অপ্রত্যাশিত। এক্ষেত্রে শুরুতেই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ঢাবি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তীক্ষ্ম নজরদারি চালাতে হবে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই করা হয়েছে এই নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র তাই সেখানে যেন প্রতিটি ছাত্র সংগঠনকে সমান সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ছাড়া ভোটার যেন স্বাধীনভাবে প্রার্থী পছন্দের সুযোগ অর্থাৎ ভোট দিতে পারে তাও নিশ্চিত করতে হবে। সুন্দর আগামীর জন্য ডাকসুর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার বিকল্প নেই। দেশের সচেতন নাগরিকরা তাই প্রত্যাশা করে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper