ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এ কেমন বক্তব্য সিইসির

আরও দায়িত্বশীল আচরণ কাম্য

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৯, ২০১৯

স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অর্থাৎ ভোটাররা প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত করে। আমাদের দেশে সরকার গঠনের নির্বাচনসহ জনগণ সম্পৃক্ত প্রতিটি নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ইসির দায়িত্ব, জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে দেওয়া। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর সম্প্রতি সারা দেশে হতে চলেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ঠিক এর আগমুহূর্তে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বললেন, ‘ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হলে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার সুযোগ থাকবে না।’

কয়েক মাস আগে সমাপ্ত হওয়া জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছিল খুব স্বল্প পরিসরে। বর্তমান সংসদে ক্ষমতাসীন দল ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে ‘কারচুপি’ এবং ‘ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার’ অভিযোগ করে। খোলা কাগজের প্রতিবেদন অনুযায়ী সিইসি যা বলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল। অনেকে বলছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একথার মধ্য দিয়ে বিগত নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার যে অভিযোগ উঠেছে প্রকারান্তরে তা স্বীকার করাই বোঝায়।

তবে, সচেতন নাগরিকদের অনেকেই সিইসির এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা না বুঝে মন্তব্য করতে রাজি নন। কেউ বলছেন, এখানে দোষের কিছু নেই। ইভিএমে ভোট হলে ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভর্তির প্রশ্নটি আর থাকবে না। আমরা আগেই বলেছি, এমন একটি নির্বাচন করতে হবে-তা যেন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়। বিগত নির্বাচন নিয়ে অনেকেই অভিযোগ তুলে তা প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এদিকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন হয়ে দেশও এগিয়ে চলেছে। তাই এখন বরং ‘পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে লাভ হবে না’। কিন্তু, অতীতকে ভুলে গেলেও চলবে না। দেশের আপামর জনগণ নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে থাকে সুন্দর ভোটের অপেক্ষায়।

এ অবস্থার উত্তরণে নির্বাচন কমিশনকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে তাদের অবাধ স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তারা যদি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন এবং ব্যাখ্যাহীন মন্তব্য করেন তাহলে জনগণের তা মেনে নিতে কষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে জনগণও নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।

নির্বাচনের ভোট এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ই যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তবে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। যেহেতু নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলে অন্তত ভোট কারচুপির প্রশ্ন থাকবে না। তাই বিষয়টি অধিক গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। পাশাপাশি অতিগুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে থেকে দেশের সার্বিক ভালোর দিকটিও ভাবতে হবে, এটাই প্রত্যাশিত।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper