ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সড়ক শৃঙ্খলা কার্যক্রম

আবারও যেন ব্যর্থ না হয়

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মঙ্গলবার থেকে নতুন ট্রাফিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। যদিও জনসাধারণের প্রত্যাশা, নতুন বছরে নতুন সরকার এসে সড়কে বিশৃঙ্খলার বিষয়টি সুরাহা করবে, কিন্তু অতীতের ট্রাফিক সপ্তাহ বা ট্রাফিক পক্ষের ফলাফল দেখে এ ব্যাপারে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে না।

তবে এবারের এই ট্রাফিক পক্ষে ডিএমপির উদ্যোগ-আয়োজন আগের তুলনায় ব্যাপকতর বলেই মনে হচ্ছে। তাদের সূত্র মতে, নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতির জন্য এবার সুনির্দিষ্ট ও ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এতে কতটুকু কাজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সড়ক আইন ভাঙার দায়ে এ পর্যন্ত মামলা, জেল-জরিমানাও কম হয়নি। কিন্তু তারপরও সড়কের শৃঙ্খলায় দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তাই বোঝাই যাচ্ছে, এ ধরনের ট্রাফিক কার্যক্রমে বা অভিযানে কোনো কাজ হচ্ছে না।

এর পেছনে একটা বড় কারণ মনে হয়, আমাদের দেশে আইন প্রণয়ন ও রক্ষার ভার যাদের ওপর, আইন ভাঙা বা লঙ্ঘন করার ক্ষেত্রে তাদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায়। ফলে সব বজ্র আঁটুনিই শেষ পর্যন্ত ফস্কা গেরোতে পরিণত হয়। কয়েক দিন আগে একজন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের বিনা হেলমেটে মোটরসাইকেলে চড়ার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে। পদস্থ ব্যক্তিদের গাড়ি নিয়ম ভেঙে উল্টোপথে চালিয়ে যেতে ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক ভূমিকা এ শহরে বলতে গেলে এক নিত্যনৈমিত্ত্যিক দৃশ্য। আর পুলিশ আইন ভঙ্গকারীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও আইন ভাঙতে পরোক্ষে উৎসাহিত করছে, এমন দৃশ্য তো বলতে গেলে মানুষের গা-সহা হয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে, বেপরোয়া বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই সহপাঠীর মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের এক সপ্তাহের আন্দোলনের কথা। তখন তারা রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় নেমে গিয়েছিল। সড়ক আইন ভেঙেছে এমন কাউকেই তারা রেয়াত করেনি, তা তিন মন্ত্রী, এমপি, সচিব, পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিক যে-ই হোন-না কেন। এত বড় পুলিশ বিভাগ যে কাজ আজ পর্যন্ত করে উঠতে পারল না, ওইসব ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মাত্র সাত দিনে তা করিয়ে দেখিয়েছিল। সড়কে তারা শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরিয়ে এনেছিল। তারা প্রমাণ করে দিয়েছিল, সততা, সদিচ্ছা, দৃঢ়সংকল্প থাকলে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলা যায়। ট্রাফিক পক্ষ শুরুর প্রাক্কালে কোমলমতি ওই শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা দৃষ্টান্ত ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরেকবার স্মরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper