নোয়াখালীতে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হোক
সম্পাদকীয়-২
🕐 ৯:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের দিন চল্লিশোর্ধ বয়সের এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত সাতজন এ পর্যন্ত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল। এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামি এখনো পলাতক।
নির্বাচনে নিজের পছন্দমতো ভোটাধিকার প্রয়োগের ‘অপরাধে’ নোয়াখালীতে গণধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ধর্ষিত মহিলাটি তার অভিযোগে জানান, ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে তাকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি পেতেই হবে। যারাই অপরাধী হোক, তারা কেউ পার পাবে না।’
এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে গুরুতর আঘাত করা এবং ধর্ষণ করার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচনের সঙ্গে এই মারধর ও ধর্ষণের শিকার হওয়ার কোনো সম্পর্ক তদন্তকালে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা এজাহারের ভাষ্যমতে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-ও একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল সুবর্ণচরে। এ দল ফিরে আসার পর তাদের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার নারী পূর্বশত্রুতার জেরের কথা যেমন বলেছেন তেমনি ভোটের দিনের ঘটনাও বলেছেন।
ভোটের বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে যেভাবেই হয়ে থাকুক-না কেন, ধর্ষণ ধর্ষণই। চার সন্তানের জননী চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের একজন গৃহবধূকে গণধর্ষণের মতো এই ন্যক্কারজনক ঘটনার ন্যায়বিচার যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, এটাই আমাদের প্রার্থনা।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228