ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফিলিপিনো ব্যাংক ব্যবস্থাপকের দণ্ড

আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক সংকেত

সম্পাদকীয়-২
🕐 ৯:৫০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০১৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের এযাবৎকালের বৃহত্তম রিজার্ভ চুরির ঘটনায় শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় পাওয়া গেল। এ চুরির দায়ে প্রথম সাজা পেলেন ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মাইয়া সান্তোস দেগুইতো। গত বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের একটি আঞ্চলিক আদালত অর্থপাচারের আটটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চার থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং তার পাশাপাশি প্রায় ১১ কোটি ডলারের অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

২০১৬ সালে সংঘটিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সাইবার চুরির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। পরে ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের মাকাতি শাখার মাধ্যমে তা ক্যাসিনো ও বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে চলে যায়। অর্থপাচারের এ কাজে আরসিবিসির মাকাতি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে সরাসরি জড়িত ছিলেন মায়া দেগুইতো। রায়ের ২৬ পৃষ্ঠার শুনানিতে আদালত জানান, এই অর্থ লেনদেনে দেগুইতোর কোনো হাত ছিল না বলে কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অবৈধ ব্যাংক লেনদেনের সঙ্গে অবশ্যই জড়িত ছিলেন তিনি।

ফিলিপাইনের আদালতের এ রায় যুগান্তকারী সন্দেহ নেই। দেশে ও বিদেশে আমাদের ব্যাংকের শাখাগুলোতে যারা জনগণের আমানত নয়ছয় করছে, এ রায় তাদের কাছে একটা সতর্ক সংকেত পাঠাবে আশা করা যায়। দেগুইতোর আইনজীবী অবশ্য অজুহাত দেখিয়েছে, অন্যরা এ চুরিতে জড়িত ছিল এবং এখানে দেগুইতোর কিছু করার ছিল না। তার মক্কেল উচ্চতর আদালতে আপিল করে তার নির্দোষিতা প্রমাণ করবেন বলেও জানিয়েছেন এ আইনজীবী। কিন্তু আমরা চাইবো, দেশ-বিদেশে আলোড়ন তোলা এই পুকুর চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত এই ব্যাংক কর্মকর্তা যেন কিছুতেই আইনের ফাঁকফোকর গলে বেরিয়ে আসতে না পারেন। প্রাপ্য শাস্তি যেন তাকে অবশ্যই ভোগ করতে হয়, যা অন্য অপরাধী বা অপরাধেচ্ছুর সামনে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper